বিটকয়েন বিপর্যয়

বিটকয়েন,  ছবি: ইন্টারনেট
বিটকয়েন, ছবি: ইন্টারনেট

পাঁচ বছর আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ব মুদ্রাবাজারে বিটকয়েনের আবির্ভাব ঘটে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে। লেনদেন পুরোটাই ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বা অনলাইনে। যদিও এটা কোনো দেশের বৈধ বা আনুষ্ঠানিক মুদ্রা নয়, তার পরও দিন দিন বেড়ে চলছিল জনপ্রিয়তা।

কিন্তু গত মঙ্গলবার বিরাট এক ধাক্কা এসেছে বিটকয়েনের পথচলায়। বিটকয়েন লেনদেনের অন্যতম বড় এক্সচেঞ্জ ম্যাট গক্স তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। কেননা, ম্যাট গক্সের ভান্ডার থেকে সাত লাখ ৪৪ হাজার বিটকয়েন খোয়া গেছে। যদিও এটি এক দিনে হয়নি, বরং কয়েক বছর ধরে ঘটেছে। ফলে ম্যাট গক্স এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। খোয়া যাওয়া বিটকয়েন এখন সরবরাহে থাকা বিটকয়েনের ৬ শতাংশ। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিটকয়েনের বাজারদর ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে।

গতকাল প্রতিটি বিটকয়েন গড়ে ৫০০ মার্কিন ডলারে লেনদেন হয়েছে, যা অল্প কিছুদিন আগেও ছিল এক হাজার ২০০ ডলার।

বিটকয়েন মূলত ইন্টারনেটের জগতে অনেকটা শেয়ার বা মুদ্রার মতো লেনদেন হয়। তাই নিয়মিত এর দর বা বিনিময়মূল্য ওঠানামা করে। এটি নিজেই ডলার বা ইউরো এসব আন্তর্জাতিক মুদ্রাগুলোর মতো বিনিময়মাধ্যম।

পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে সীমিত পরিসরে বিটকয়েনকে ব্যবহার করা হয় নিজস্ব মুদ্রার মতো। ক্রিটোগ্রাফিক প্রক্রিয়ায় বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন হয়।

অনলাইনে কেনাকাটা ও ইলেকট্রনিক লেনদেনে বিটকয়েন একদিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত মুদ্রা হবে—এমন ধারণা যখন ছড়ানো হচ্ছিল, তখনই ম্যাট গক্স মুখ থুবড়ে পড়ায় বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুনভাবে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও বিটকয়েন লেনদেনের অন্য এক্সচেঞ্জগুলো সচল রয়েছে।

বর্তমানে এক কোটি ২৪ লাখ বিটকয়েন প্রচলিত আছে, যার মোট বাজারদর এখন ৬২০ কোটি ডলার।

সূত্র:বিজনেসলাইন।