বিনা শুল্কে ১২টি সোনার গয়না আনা যাবে

প্রতীকী ছবি

প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য গ্রিন চ্যানেল সুবিধা থাকে। কোনো যাত্রী ইমিগ্রেশন পার হয়ে ব্যাগ নিয়ে সহজেই এই চ্যানেল দিয়ে বের হয়ে আসতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, যাত্রীর ব্যাগে যদি এমন কোনো জিনিসপত্র না থাকে, যেগুলোর ওপর শুল্ক আছে, তাহলেই কেবল গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হওয়া যায়। তাই একটি দেশে প্রবেশের আগে জেনে নেওয়া উচিত, ওই দেশ যাত্রীদের জন্য কোন কোন পণ্যের ওপর বিনা শুল্কের সুবিধা দেয়। ব্যাগেজ রুলের আওতায় এই সুবিধা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবশ্য একটু ভিন্ন। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ বিদেশে থাকেন। তাঁদের বেশির ভাগই প্রবাসী শ্রমিক। দেশে ফেরার সময় তাঁরা নিজেদের পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। তাঁদের জেনে রাখা ভালো, কোন কোন জিনিসপত্র আনলে বিমানবন্দরে কোনো শুল্ক কর দিতে হয় না।

সাধারণত প্রবাসীরা সোনার গয়নাই বেশি আনেন। ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন যাত্রী ১২টির বেশি এক ধরনের গয়না বিনা শুল্কে দেশে আনতে পারেন না। আবার এর ওজন ১০০ গ্রামের বেশি হওয়া যাবে না। সোনার বার বা স্বর্ণপিণ্ড আনলে শুল্ক দিতে হবে। এ ছাড়া ২০০ গ্রামের বেশি রুপার অলংকার আনলে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না।

ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী, সব মিলিয়ে ২৬ ধরনের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পান বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা। এই তালিকায় আছে, এখন নিত্যপণ্য হিসেবে বিবেচিত মুঠোফোন। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ দুটি মুঠোফোন আনতে পারবেন। সাধারণ ভিডিও ক্যামেরা ও স্থিরচিত্র ধারণের ক্যামেরাও আনতে পারবেন। এ ছাড়া ২১ ইঞ্চি পর্যন্ত প্লাজমা, এলইডি ও এলসিডি টিভি এবং ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত সাধারণ টিভি আনতেও কোনো কর দিতে হবে না।

বিনা শুল্কের তালিকায় আরও আছে ক্যাসেট প্লেয়ার, ওয়াকম্যান, অডিও সিডি প্লেয়ার, ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার, কম্পিউটার স্ক্যানার, কম্পিউটার প্রিন্টার, ফ্যাক্স মেশিন, সাধারণ ভিডিও ক্যামেরা, স্টিল বা ডিজিটাল ক্যামেরা, ল্যান্ড টেলিফোন সেট, ইলেকট্রিক ওভেন বা মাইক্রোওভেন, রাইস কুকার বা প্রেশার কুকার বা গ্যাস ওভেন (বার্নারসহ), টোস্টার বা স্যান্ডউইচ মেকার বা ব্লেন্ডার বা ফুড প্রসেসর বা জুসার বা কফি মেকার ইত্যাদি।

যাত্রীদের এই ব্যাগেজ রুলস শুধু বিমানবন্দর নয়, যেকোনো স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।