ব্যাংকাররাও পাচ্ছেন বাংলা নববর্ষ ভাতা

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখে বরাবরই ছুটি থাকে। এবারে নববর্ষ শুরুর পরবর্তী দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ছুটি বেড়ে তিন দিন হচ্ছে। এতে ব্যাংকের চাকুরেরা অবশ্যই খুশি হয়েছেন। তবে তাঁদের কাছে এবারের পয়লা বৈশাখ আরও অনেক বেশি মাহাত্ম্য ও খুশির বার্তা নিয়ে আসছে। কারণ, তাঁরা বাঙালির চিরায়ত এই উৎসব উপলক্ষে প্রথমবারের মতো পেতে যাচ্ছেন বিশেষ ভাতা। এ নিয়ে যেন খুশির শেষ নেই তাঁদের।
গতকাল রোববার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারি ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অধিকাংশ ব্যাংক তাদের কর্মীদের বৈশাখী ভাতা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনেক ব্যাংক কর্মীদের ব্যাংক হিসাবে এই ভাতা পাঠিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক তাদের কর্মীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রদান করছে। গতকাল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকও একই হারে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর আগে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায়ও কর্মীদের ২০ শতাংশ নববর্ষ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন, এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি গ্লোবাল প্রভৃতি ব্যাংকের কোনো কোনোটি নববর্ষের বোনাস দিতে শুরু করেছে এবং কোনো কোনোটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কয়েকটি ব্যাংক এর চেয়েও বেশি দিতে পারে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে বেশির ভাগ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় নববর্ষ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখের ছুটির পর শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে তিন দিন ছুটি পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো বোনাসও মিলেছে। এর ফলে পরিবারের সঙ্গে নববর্ষ ভালোই কাটবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ দেশের পুরো ব্যাংক খাতে বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫২ জন। এই তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়া।
২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঘোষিত জাতীয় বেতনকাঠামোতে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ ভাতা চালু করা হয়। এটি কার্যকর ধরা হয়েছে ওই বছরের পয়লা জুলাই থেকে। সে অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা এমনিতেই এ ভাতা পাচ্ছেন।