মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়াল

হঠাৎ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ পেরিয়ে গেল। গত মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মে মাসের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতির এত বড় উল্লম্ফন গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।

চার-পাঁচ মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। মে মাসে তা ৭ শতাংশ পেরিয়ে গেল। নিত্যপণ্য চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি এতটা বেড়েছে।
বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এপ্রিল মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে মে মাসে ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম। এপ্রিল মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি একধরনের কর। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মজুরি বা আয় না বাড়লে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে। তাঁদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। ফলে দারিদ্র্যসীমার কিছুটা ওপরে থাকা অনেক মানুষের আবার গরিব হওয়ার আশঙ্কা থাকে।