লোটো বাংলাদেশের এমডি কাজী জামিল ইসলামের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

স্পোর্টি লাইফস্টাইল জগতে লোটো এখন একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। সারা বিশ্ব জয় করে ২০১২ সাল থেকে লোটো বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করে চলছে। কিন্তু নিয়মিত ব্যবসার পাশাপাশি লোটো বাংলাদেশের রয়েছে কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। লোটো মনে করে, শুধু ব্যবসা নয়, আরও কিছু সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে, যা পালন করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখা সম্ভব। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে লোটো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী জামিল ইসলাম নিয়েছেন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

আগামীর বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে কাজী জামিল ইসলাম ভবিষ্যৎ তৈরির কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। লোটো বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেধাবী সন্তানদের জন্য তিনি চালু করেছেন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। এর আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানেরা মেধার ভিত্তিতে প্রথম শ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনার সব ধরনের আর্থিক সহায়তা লোটো থেকে পাবেন।

কাজী জামিল ইসলাম মনে করেন, এ দেশের প্রত্যেক সন্তানেরই একজন দক্ষ ম্যানেজার হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। ১৮ কোটি জনগণের এ দেশ হতে পারে দক্ষ জনশক্তি তৈরির একটি কারখানা, যেখান থেকে সাধারণ শ্রমিক নয়, দক্ষ ম্যানেজার উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ দেশে দক্ষ ম্যানেজারের অভাব রয়েছে। যদি একটু সহযোগিতা পেলে এই সন্তানেরা দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে, তবে দেশের চাহিদা পূরণ করে তারাই বিদেশ থেকে দেশের জন্য উপার্জন করে আনতে পারবে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে যে সহযোগিতার প্রয়োজন, তা দিতে লোটো বাংলাদেশ প্রস্তুত।

শুধু বৃত্তিই নয়, লোটো বাংলাদেশ এই মেধাবী সন্তানদের জন্য চালু করতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, যেখান থেকে তারা নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পেতে পারে এবং নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারে। আপাতত এই কার্যক্রম কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্যই চালু করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে লোটো বাংলাদেশ দেশের অনেক মেধাবী সন্তানকে সহযোগিতা করতে পারবে বলে কাজী জামিল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে আজকে লোটোর ব্যাপক জনপ্রিয়তার পেছনে এর শ্রমিক–কর্মচারীদের প্রচুর অবদান রয়েছে বলে মনে করেন কাজী জামিল ইসলাম। তাঁদের কাজের প্রতি ভালোবাসা আর পরিশ্রমী উদ্যোগই লোটোকে আজকে এই অবস্থানে এনেছে বলে তিনি মনে করেন। আর তাই তো লোটো বাংলাদেশের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাথার ওপর তিনি ছায়া হয়ে আছেন। তাঁদের জন্য চালু করেছেন বিভিন্ন ধরনের ফান্ড, দুর্ঘটনা বা স্বাস্থ্যবিমা এবং দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সুবিধা। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর না, তিনি চান সবার অভিভাবক হয়ে থাকতে, যারা তাঁকে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে আসতে সহযোগিতা করেছে।