শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৬৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে ডিবিএল

মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৬৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ডিবিএল গ্রুপ, যা দেশীয় মুদ্রায় ৫ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার সমান। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে তারা বস্ত্র ও সিরামিক খাতের মোট ১০টি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করবে। এতে ছয় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রোববার এক অনুষ্ঠানে ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ কাদের।

অনুষ্ঠানে এম এ জব্বার বলেন, ‘ডিবিএল গ্রুপ প্রথাগত ব্যবসার জগতে থেমে না থেকে বহুমাত্রিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও অটোমেটেড প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করেছে। শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক আমাদের এই যাত্রায় আরও ভূমিকা রাখবে।’

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে শেরপুরের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩৫৩ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। এর মধ্যে সরকারি জমি আছে ১১৩ একর আর বাকি ২৪০ একর জমি বেসরকারি পর্যায় থেকে এরই মধ্যে অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। ১৬৭ দশমিক ৬ একর জমিতে গড়ে উঠবে ডিবিএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।

ডিবিএল গ্রুপের একজন কর্মকর্তা জানান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আগামী মাসে একটি টেক্সটাইল মিলের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

করোনাকালে অনেক প্রতিষ্ঠান যেখানে টিকে থাকতে সংগ্রাম করছে, সেখানে নতুন বিনিয়োগের পথে হাঁটছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড বা ডিবিএল। মহামারির এই সময়ে বস্ত্র ও সিরামিক খাতে তারা নতুন করে বিনিয়োগ করেছে ৯১২ কোটি টাকা। এতে ২ হাজার ১৭৫ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

১৯৯১ সালে ঢাকার ১০২ গ্রিন রোডে ছোট কারখানা দিয়ে যাত্রা শুরু করে ডিবিএল গ্রুপ। পোশাক দিয়ে শুরু হলেও গত ২৯ বছরের ব্যবসায় সিরামিক টাইলস, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও ড্রেজিং ব্যবসায় নাম লিখিয়েছে তারা। ওষুধ ব্যবসায়ও আছে প্রতিষ্ঠানটি।

ডিবিএলের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় দুই ডজন। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন প্রায় ৪০ হাজার কর্মী। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রুপের বার্ষিক লেনদেন ছিল প্রায় ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ব্যবসা থেকেই এসেছে ৯০ শতাংশ।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আবদুল কুদ্দুস দুলালের নামেই প্রতিষ্ঠান শুরু করেন তাঁর ছোট চার ভাই আবদুল ওয়াহেদ, এম এ জব্বার, এম এ রহিম ও এম এ কাদের। তাঁরা যথাক্রমে ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), ভাইস চেয়ারম্যান ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)।