সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কেনাকাটার ধুম

ঈদ দোরগোড়ায়। রংপুর নগরে জমে উঠেছে প্রসাধনী ও গয়নার বাজারফাইল ছবি

ঈদের বাকি হাতে গোনা আর কয়েক দিন। রংপুর শহরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। বিক্রেতারা বলেন, রমজানের প্রথম তিন সপ্তাহ বেশি ক্রেতা ছিল না। এখন বিক্রি বাড়ছে। ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার শাড়ি এবং ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার থ্রি-পিস বেশি বিক্রি হচ্ছে।

নগরের কামালকাছনা, স্টেশন রোড, বেতপট্টি, পায়রা চত্বর এলাকা থেকে শুরু করে সবখানেই জমজমাট ঈদের বাজার। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিপণিবিতানের সামনে নানা রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিক্রেতারা বলেন, রমজানে রাতের বেলায় ঈদবাজার বেশি জমজমাট থাকে। রাত যত বাড়ে, ঈদের কেনাকাটাও তত বাড়ে।

জাহাজ কোম্পানি মোড়ের আশপাশের এলাকায় নামীদামি কাপড়ের দোকান ও শপিং কমপ্লেক্স। গত বুধবার রাতে ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ দোকানে ছিল ক্রেতার ভিড়। দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে চাকরিজীবী সোহেল চৌধুরী কেনাকাটা করতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর পাঞ্জাবি কেনা হয়নি, এবার কিনেছি। একই ধরনের তিনটি পাঞ্জাবি কিনব।’

পাঞ্জাবিওয়ালা দোকানের মালিক রিপন শেখ বলেন, ‘এবার ঈদের বেচাকেনাও ভালো। শেষ দিকের বেচাকেনায় মনে হচ্ছে, দুই বছরের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’

রয়্যালটি মেগা মলে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন আফরোজা বেগম। তিনি বলেন, ‘ভিড়ই যদি না হয়, তাহলে ঈদের আনন্দই বা কী থাকল। এরই মধ্যে পছন্দ করে দুটি জামা কেনা হয়েছে। আরও দেখছি।’ মালিক তানভীর আশরাফি বলেন, শিশুদের পার্টি ও ফেন্সি ড্রেস আর কটি ও পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। শিশুদের কাপড় প্রকারভেদে সর্বনিম্ন ৭৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তরুণীদের থ্রি–পিস ও তরুণদের প্যান্টের চাহিদাও আছে বেশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। ক্যাটালগ দেখে অনেকে নিজের পোশাক পছন্দ করছেন। এ ছাড়া কিছু দোকানে বিক্রয়কর্মীদের শাড়ি গায়ে জড়িয়ে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতেও দেখা গেছে। পোশাকের পাশাপাশি নবাবগঞ্জ মার্কেটে গয়না, কসমেটিকসহ ঘর গোছানোর জন্য সাজসরঞ্জাম কিনছেন কেউ কেউ।

নগরের হনুমানতলায় আছে মানুষের ভিড়। স্থানীয় বিক্রেতারা বলেন, গত ১৩ বছর আগে এখানে গড়ে উঠেছে কম দামি কাপড়ের বাজার। দোকান আছে ৮০টি। এসব দোকানে তৈরি পোশাক ছাড়াও নানা ধরনের গজ কাপড় বিক্রি হচ্ছে। মিতু বস্ত্রালয়ের মালিক হাসেম মৃধা বলেন, কম লাভে জামাকাপড় বিক্রি করা হয় বলে এখানে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।