৫০ বছরে সবচেয়ে কম যাত্রী হিথরো বিমানবন্দরে

করোনা মহামারির প্রভাবে যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল কমে গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেম গেছে। হিথরো কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২১ সালে এই বিমানবন্দর দিয়ে ভ্রমণকারী যাত্রীর সংখ্যা কমে ১ কোটি ৯৪ লাখে নেমেছে। এর আগে সর্বশেষ ১৯৭২ সালে এত কম যাত্রী দেখা গিয়েছিল। খবর দ্য গার্ডিয়ানের

হিথরো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, মহামারির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টিনসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যাহত হয়েছে। একপর্যায়ে হিথরো বন্দরের বিমানগুলোতে যাত্রীসংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। যাত্রী কমে যাওয়ায় পাশাপাশি কার্গো বিমানে পণ্য পরিবহনও ১২ শতাংশ কমেছে।
ক্রমবর্ধমান ক্ষতি কমাতে নানাভাবে ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয় হিথরো কর্তৃপক্ষ। তারপরও গত বছর (২০২১) কর-পূর্ববর্তী মুনাফা প্রায় ১৮০ কোটি পাউন্ড কমেছে বিমানবন্দরটির। আর মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮০ কোটি পাউন্ড।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম যাত্রী চলাচল হয়েছে লন্ডনের হিথরোতে। ইইউভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাজ্যে বিধিনিষেধ বেশি কঠোর থাকায় যাত্রী চলাচল ও আয়ের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
করোনার প্রভাব কমে আসায় পর্যটক বাড়াতে সম্প্রতি ভ্রমণের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর ফলে এখন যাত্রী চলাচল বাড়বে বলে আশা করছে হিথরো কর্তৃপক্ষ।

হিথরো বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী জন হল্যান্ড কায়ে বলেন, ‘২০২১ সাল ছিল হিথরোর ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বছর। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণের চাহিদা বাড়ায় আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি। যেভাবে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে, তাতে আগামী গ্রীষ্মের ছুটিতে যুক্তরাজ্য থেকে যাত্রী পরিবহন ৮০ শতাংশ বেড়ে ৪ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে।’

এদিকে যাত্রী বাড়াতে বিমানবন্দরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথাও জানান হল্যান্ড কায়ে। তিনি বলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বিমানবন্দরের চতুর্থ টার্মিনাল পুনরায় চালু করা হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় টার্মিনালে থাকা ৫০ বছরের পুরোনো ব্যাগেজ সিস্টেমও বদলানো হবে। এসব কাজে অর্থের জোগান দিতে বিমান সংস্থাগুলো থেকে সাময়িকভাবে ২ শতাংশের মতো বাড়তি মাশুল নেওয়া হবে।