'মসলায় মাতামাতি, ফুর্তি ফাটাফাটি'

ভোক্তাদের সম্পূর্ণ নতুন স্বাদ দিতে বাজারে এল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কুড়কুড়ে। পেপসিকো বাংলাদেশ ও তাদের স্থানীয় অংশীদার (ফ্র্যাঞ্চাইজি) ট্রান্সকম কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড আনুষ্ঠানিকভাবে তা বাজারে এনেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুড়কুড়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিমের নাম ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ‘মসলায় মাতামাতি, ফুর্তি ফাটাফাটি’ শীর্ষক একটি প্রচার কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করা হয়।
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে অপি করিম পণ্যটির সব ধরনের প্রচারকাজে ও বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে অপি করিম অভিনীত নতুন বিজ্ঞাপনচিত্রও দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ট্রান্সকম কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন হোসেন, পেপসিকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার দর্পণ ভাশিষ্ঠা এবং অপি করিম। ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক আরশাদ ওয়ালিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভোক্তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে কুড়কুড়ে বাজারে এসেছে তিনটি লোভনীয় স্বাদে। টক-ঝাল-মিষ্টি, মাসালা মাঞ্চ ও চিলি চটকা—এ তিনটি স্বাদে পাওয়া যাচ্ছে কুড়কুড়ে। ছোট, মাঝারি ও বড়—এই তিন ধরনের প্যাকে কুড়কুড়ের দাম রাখা হয়েছে যথাক্রমে ১০ টাকা, ২৫ টাকা ও ৪৫ টাকা।
পেপসিকো-বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার দর্পণ ভাশিষ্ঠা বলেন, ‘বোতলজাত পানীয় ব্যবসায় ট্রান্সকম ও পেপসিকোর অংশীদারত্ব দীর্ঘদিনের। এখন খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ও ট্রান্সকমের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এসব পণ্য এখন বাংলাদেশেই তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, কুড়কুড়ে তৈরি, বিপণন ও বিতরণের জন্য বগুড়ায় একটি আন্তর্জাতিক মানের কারখানা পরিচালনা করছে ট্রান্সকম।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক গ্রুপ ট্রান্সকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের এমডি ও সিইও সিমিন হোসেন জানান, ‘খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে পেপসিকোর বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমে প্রথম স্থানীয় অংশীদার ট্রান্সকম। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই বাংলাদেশে কুড়কুড়ে তৈরি হবে।’
সিমিন হোসেন আরও বলেন, ‘পুরো পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে উপভোগ্য সময় কাটাতে কুড়কুড়ে একটি পারফেক্ট স্ন্যাক হিসেবে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এই অনন্য অনুভূতি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দিতে অপি করিমের মতো প্রিয়মুখের বিকল্প নেই।’
কুড়কুড়ের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা বলতে গিয়ে অপি করিম বলেন, ‘কুড়কুড়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম যে বিষয়টি আমার মাথায় ছিল, তা হলো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডটির পণ্য এখন বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। “মসলায় মাতামাতি, ফুর্তি ফাটাফাটি” শীর্ষক যে ক্যাম্পেইন শিরোনাম রাখা হয়েছে, সেটা আমার খুবই পছন্দ। একটি পরিবারে একজন গৃহকর্ত্রী সব সময় চেষ্টা করেন পুরো পরিবার কীভাবে সুন্দর সময় কাটাতে পারে। কুড়কুড়ের স্বাদ সবাইকে শুধু একত্রই করে না, আনন্দেও মাতিয়ে তোলে—এ ধারণাটি খুবই চমৎকার। তাই এ আয়োজনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত।’
ট্রান্সকম গ্রুপের আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম বেভারেজ বাংলাদেশে পেপসিকোর একমাত্র অংশীদার। ট্রান্সকম বেভারেজের মালিকানায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোমল পানীয় তৈরির কারখানা রয়েছে। ট্রান্সকম বেভারেজের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে পেপসি ও পেপসি ডায়েট, সেভেনআপ ও সেভেনআপ লাইট, মিরিন্ডা, স্লাইস ও মাউন্টেন ডিউ।