বৈদ্যুতিক পণ্যেই ৪৫ কোটি ডলার বেশি দিয়ে চুক্তি ডিপিডিসির

নানা অনিয়ম ও অসংগতির মধ্য দিয়ে চলা এ প্রকল্প ব্যয়ের দিক থেকে বড় হলেও অগ্রাধিকার তালিকায় নেই।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে শুধু ইলেকট্রিক্যাল বা বৈদ্যুতিক পণ্য কিনতেই বাংলাদেশকে বেশি গুনতে হচ্ছে প্রায় ৪৫ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৯৯ টাকা দরে (সরকারি প্রকল্প) হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন এ প্রকল্পের নাম ‘ডিপিডিসি এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প। ২০ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প বিদ্যুৎ বিতরণ খাতে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ব্যয়ের দিক থেকে বেশি হলেও এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে নেই। এর কাজ করছে চীনের বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তেবিয়ান ইলেকট্রিক অ্যাপারাটাস কোম্পানি লিমিটেড (টিবিইএ)।

ডিপিপি বিশ্লেষণে দেখা যায়, চীনা ঠিকাদার টিবিইএ শুধু প্রকল্পের বৈদ্যুতিক পণ্যের জন্যই চেয়েছিল ২১০ কোটি ২৫ লাখ ডলার। ডিপিডিসি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে টিবিইএকে জানিয়েছিল, যেসব বৈদ্যুতিক পণ্য কিনতে হবে, তার জন্য ১১১ কোটি ১৮ লাখ ডলারের বেশি লাগবে না।

এ নিয়ে দুই পক্ষের দর-কষাকষির একপর্যায়ে স্বতন্ত্র পরামর্শক হিসেবে বুয়েটের কাছে যায় ডিপিডিসি। বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন (বিআরটিসি) সব ধরনের বিশ্লেষণ করে ডিপিডিসিকে জানায়, ইলেকট্রিক্যাল পণ্যগুলোর দাম হতে পারে বড়জোর ৮৭ কোটি ৬ লাখ ডলার।

কিন্তু বিআরটিসির মতামত অগ্রাহ্য করে ডিপিডিসি শেষ পর্যন্ত এ পণ্যের জন্য চীনা ঠিকাদারের সঙ্গে ১৩২ কোটি ২২ লাখ ডলারের চুক্তি করে। আর এতেই ৪৫ কোটি ১৬ লাখ ডলার বেশি গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

টিবিইএকে ডিপিডিসি এভাবে কাজ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বৈদ্যুতিক পণ্যেই যদি দামের এমন দশা হয়, সহজেই অনুমেয় যে পুরো প্রকল্প কত বেশি দামে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সরকারি কেনাকাটা ও দর বিশ্লেষণের একমাত্র রাষ্ট্রীয় দপ্তর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)। সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক ফারুক হোসেনকে ডিপিডিসি ও সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত দেখানো হলে বলেন, ‘ঠিকাদার আগে থেকেই ঠিক করে রাখার কারণে দর-কষাকষি আর শক্তভাবে করা যায় না। তখন তা হয়ে ওঠে লোক দেখানো দর-কষাকষি। এ সুযোগে চীনা প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত ব্যয়ের অনেক বেশি প্রস্তাব করেছে। বিআরটিসি বুয়েটের মূল্যায়ন সরকার কেন আমলে নিল না, তা এক রহস্যই বটে।’ ডলার–সংকটের এ সময়ে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী ব্যয় বাদ দিয়ে প্রকল্পটি নতুন করে সাজাতে হবে বলে মনে করেন ফারুক হোসেন।

মাটি ভরাটসহ প্রকল্পের পুর (সিভিল) কাজ রয়েছে চার হাজার কোটি টাকার বেশি, যেগুলো স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধিত হওয়ার কথা। কিন্তু ভ্যাট ও কর ফাঁকি দিতে এগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে ডলারে। আবার উপকেন্দ্রের মিটার কেনার জন্য সিইডব্লিউই নামের একটি কারখানা দেখাতে গত মাসে একটি দলকে যুক্তরাজ্য ঘুরিয়ে এনেছে টিবিইএ। মিটারের বাজারে বিশ্বে ভালো ভালো কোম্পানি থাকা সত্ত্বেও সিইডব্লিউইকে বেছে নেওয়ার পেছনেও রহস্য রয়েছে বলে ডিপিডিসিরই কিছু কর্মকর্তা মনে করছেন।

ডিপিপি, ডিপিডিসি থেকে টিবিইএকে দেওয়া চিঠি, বিদ্যুৎ–সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বহুপক্ষীয় বৈঠকের আলোচনা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নানা অনিয়ম ও অসংগতির মধ্য দিয়ে প্রকল্পটির কাজ চলছে।

বৈদ্যুতিক পণ্যের দাম নিয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান গত ৭ আগস্ট তাঁর কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, বিআরটিসি বুয়েটের মূল্যায়ন সাধারণত যথার্থ হয়। বৈদ্যুতিক পণ্যের দাম বাড়িয়ে ধরা হয়েছে কি না, হলেও বা কেন হয়েছে, তা প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মাহবুবুর রহমান ভালো বলতে পারবেন।

গত ১১ আগস্ট পিডি মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে গেলে প্রথমেই তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক পণ্যের দাম নিয়ে তিনি কথা বলবেন না। তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে আর বাকি আছে পৌনে দুই বছর। তবে প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধির আবেদন করেছে টিবিইএ আর গত জুন পর্যন্ত ক্রম পুঞ্জীভূত আর্থিক কাজ হয়েছে ৩০ শতাংশ।

কখন, কেন এ প্রকল্প

প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সুবিধা পাওয়া যাবে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত—এ কথা বলে পাঁচ বছর আগে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। ডিপিডিসির গত ১৩ জানুয়ারি প্রকাশিত ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এ প্রকল্প সফল বাস্তবায়নের ফলে ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিতরণব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।’

২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন বিদ্যুৎ–সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে চীনের নমনীয় শর্তের (কনসেশনাল) ঋণের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিআরটিসি বুয়েট হবে প্রকল্পের স্বতন্ত্র পরামর্শক। বাণিজ্যিক চুক্তিতে যেসব পণ্য ও সেবা থাকবে, সেগুলোর মূল্য যাচাইয়ের কাজ করবে বিআরটিসি।

২ শতাংশ সুদে চীনা এক্সিম ব্যাংক থেকে সরকারি ঋণ এবং ৩ শতাংশ সুদে অগ্রাধিকারমূলক ঋণ নেওয়ার চুক্তি হয়। উভয় ঋণের আকার বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এতে সরকারের অংশ ৭ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা আর ডিপিডিসির অংশ ১ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ইকরামুল হক প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা যাচাই করেই প্রকল্পের বৈদ্যুতিক পণ্যের দামের ব্যাপারে মতামত দিয়েছিলাম। পরে কেন বেড়ে গেল, তা একটা প্রশ্ন বটে। কাজ এখন কীভাবে হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। কাজটি ভালোভাবে হওয়ার জন্য জানাবোঝা লোকের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদারক কমিটি থাকার দরকার ছিল। যতটুকু জানি তা হয়নি, এতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অসংগত নয়।’

কোথায়, কী হওয়ার কথা

প্রকল্পের আওতায় ডিপিডিসি এলাকায় ১৪টি নতুন ১৩২/৩৩ কেভি এবং ২৬টি নতুন ৩৩/১১ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া বাড়ানো হবে আটটি বিদ্যমান ১৩২/৩৩ কেভি এবং চারটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ক্ষমতা। আর তেজগাঁও, পরীবাগ, হাতিরঝিল ও কাকরাইলে নির্মাণ করা হবে দাপ্তরিক ও বাণিজ্যিক ভবন।

ডিপিপি অনুযায়ী, উপকেন্দ্রগুলো হবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া, আদমজী, পাগলা; ঢাকার গোরান, তালতলা, গ্রিন মডেল টাউন, নবীনগর, ইংলিশ রোড, বছিলা, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, নারিন্দা, শ্যামপুর, শীতলক্ষ্যা, ধানমন্ডি, বঙ্গভবন, তেজগাঁও, কামরাঙ্গীরচর ইত্যাদি এলাকায়।

ডিপিডিসির এমডি বিকাশ দেওয়ান নিজেই আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কয়েকটি উপকেন্দ্র করা যাবে না। কারণ, সরকারি কিছু সংস্থা রাস্তা কাটার অনুমতি দিচ্ছে না; আবার জমি অধিগ্রহণেও দেরি হচ্ছে।

পিডি মাহবুবুর রহমান নতুন চ্যালেঞ্জের কথা সামনে এনে বলেন, ‘বিদ্যুতের নতুন উৎস দরকার; কিন্তু কাজটি শুরু হয়নি এখনো। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা। আশা করছি, পিজিসিবি তার উৎস বাড়াবে; নইলে এত বড় প্রকল্প করেও লাভ হবে না।’

চীনা কর্মকর্তাদের যোগ্যতার ঘাটতি

ডিপিডিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পে কাজ করার জন্য আছেন চীনের ৩৭ জন ব্যক্তি। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, কারিগরি ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন অংশকে আলাদাভাবে খতিয়ে দেখে এবং সবার জীবনবৃত্তান্ত বিশ্লেষণ করে ডিপিডিসি দেখেছে, প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাও জিসহ ২২ জনেরই যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে।

শাও জি সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাঁর যথেষ্ট কারিগরি যোগ্যতা নেই; ব্যবস্থাপক হওয়ার কথা একজন প্রকৌশলী, কিন্তু তিনি তা নন। এ সম্পর্কে জানতে গতকাল প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাও জিকে মুঠোফোনে না পেয়ে খুদে বার্তা পাঠালে তিনি জবাব দেননি।

উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক (সাইট) ফাং চুনজিরও যোগ্যতার ঘাটতি আছে। আর লজিস্টিকস পরিচালক গাও লিজিয়ার অভিজ্ঞতা মাত্র আড়াই বছরের। কারিগরি তত্ত্বাবধায়ক লিউ চেংজান সম্পর্কে বলা হয়েছে, সুউচ্চ ভবন নির্মাণে তাঁর অভিজ্ঞতা নেই।

২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি টিবিইএর প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে ডিপিডিসি বলেছে, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যেসব ব্যক্তি জড়িত, তাঁদের অনেকেরই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। টিবিইএর উচিত হবে, প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় তাঁদের বদলে উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া।’

যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এবং প্রকৌশলী না হওয়া সত্ত্বেও টিবিইএর প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাও জি কীভাবে এখনো প্রকল্প ব্যবস্থাপক আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপিডিসির এমডি বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘তাঁদের বদলানোর তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য বলছেন, ডিপিডিসিরই উচিত ছিল দুই মাস বা তিন মাস সময় দিয়ে নতুন প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া। সে উদ্যোগ তারা নেয়নি। তাই বুঝতে হবে, ভেতরে ঘাপলা আছে।

আগুন লাগলে উপকেন্দ্রের নিচ থেকে পানি

বিদ্যুতের উপকেন্দ্রে হঠাৎ আগুন লাগলে জরুরি ভিত্তিতে তা নেভানোর ব্যবস্থা থাকতে হয়। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে আগুন নেভানোর উপায় হচ্ছে নাইট্রোজেন ইনজেকশন ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম (এনআইএফএফএস) থাকা। কিন্তু এ প্রকল্পে উপকেন্দ্রের নিচ থেকে পানি তোলার আয়োজন করা হয়েছে। নিচ থেকে পানি তুললে উপকেন্দ্রগুলোও ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে বলা হয়েছিল, উপকেন্দ্রগুলো হবে ডিজিটাল। প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের সব যন্ত্রপাতি ডিজিটাল হলেই তাকে ডিজিটাল বলা যায়। কিন্তু তার বদলে কনভার্টার যন্ত্রপাতি দিয়ে ডিজিটাল দেখানোর আয়োজন চলছে। এতে ডেটা ট্রান্সফার করা হবে কপার ফাইবার দিয়ে; অথচ চুক্তিতে ছিল এ কাজ হবে অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে।

প্রকল্পের এমন অবস্থা সম্পর্কে জেনে সার্বিক দিক আলোচনা করতে বিদ্যুৎ–সচিব মো. হাবিবুর রহমান গত মার্চে সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। এতে ডিপিডিসি, টিবিইএ, পিডি কার্যালয় ও ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সচিব হাবিবুর রহমান প্রকল্পের গুণগত মান উন্নত করার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন চীনা লোক নিয়োগের পরামর্শ দেন। চীনা রাষ্ট্রদূতও বৈঠকে বলেছেন, নতুন লোক নিয়োগকে তিনিও স্বাগত জানান।

বিদ্যুৎ–সচিব হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন। এ জন্য যা যা করা দরকার সবই করা হবে। কোনো অনিয়ম থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’