টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ এল ৪২ দিন পর

মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে ১২০মেট্রিকটন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনা সুপারি ভর্তি কার্গো ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।প্রথম আলো

৪২ দিন পর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৪২ দিন ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে এই স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ। তার জেরে রাখাইনের জেলা শহর মংডু ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ ৪২ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমারে আরও ৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে। সে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

ওমর ফারুক আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ১১০ টাকার মতো। ট্রলার, শ্রমিক ও পরিবহন খরচসহ আরও ১৫ টাকা। এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়। আজ বিকেলের মধ্যে পেঁয়াজগুলো খালাস করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারে পাঠানো হবে।

আজ সকালে টেকনাফ স্থলবন্দরে দেখা যায়, বন্দরের জেটিতে একটি কার্গো ট্রলার পণ্যসহ নোঙর করে আছে। শ্রমিকেরা ট্রলার থেকে মালামাল সরাসরি ট্রাকে খালাস করছেন। শ্রমিকেরা বলেন, গত ৪২ দিন খুবই কষ্টে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতে হয়েছে। এখন মিয়ানমার থেকে পণ্যসামগ্রী আসার কারণে বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।

আজ সকাল ১০টায় টেকনাফ বাসস্টেশন বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ৪২ দিনে প্রায় ১২৬ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।