রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকির ১,০০০ কোটি টাকা ছাড়

টাকাপ্রতীকী ছবি

পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি ভর্তুকি বাবদ বাজেটে সরকারের বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে আলাদা করে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে। আজ সোমবার এ টাকা থেকেই এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করার অনুমতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

বাজেটে এ খাতের মোট বরাদ্দের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ এর মাধ্যমে ছাড় করা হলো। অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দ্বিতীয় কিস্তির এ টাকা এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যাবে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেবে। সবশেষে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে তা তুলে নেবেন রপ্তানিকারকেরা।

অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ, চামড়াজাত পণ্য এবং অন্যান্য খাতের রপ্তানির বিপরীতে এ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) আজ এক আবেদনে অর্থ বিভাগকে জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই রপ্তানিকারকদের প্রাপ্য বকেয়া ৪ হাজার কোটি টাকার নগদ প্রণোদনা ছাড় হওয়া দরকার। গত মাসে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করার কথা আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তুকির টাকা তুলতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এ অর্থ আরও আগেই পাওয়ার দরকার ছিল। তা–ও ভালো, অর্থ বিভাগ আজ টাকা ছাড় করেছে। সব ধাপ পার হয়ে এখন রপ্তানিকারকেরা টাকাটা পাবেন।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের এখনো ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া আছে। ওই টাকা থেকেই এই ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় হলো। তবে চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে এখনো কোনো টাকা ছাড় হয়নি।