জ্বালানি সরবরাহে সামিটের সঙ্গে জেরার সমঝোতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দুই কোম্পানির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সামিট এবং জেরার মধ্যে দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের জ্বালানি সরবরাহে যৌথ বিনিয়োগের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
সংগৃহীত

২০০ কোটি ডলারের জ্বালানি সরবরাহে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের অধীনস্ত সামিট করপোরেশন ও জাপানভিত্তিক বৈশ্বিক জ্বালানি কোম্পানি জেরার অধীনস্ত জেরা-এশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

জাপানে আজ বৃহস্পতিবার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জেরা-এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তোসিরো কুদামা ও সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা আজিজ খান এই সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন। ২০০ কোটি ডলারের এই সমঝোতায় অন্তর্ভুক্ত আছে একত্রে সুলভ মূল্যে, নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহসহ উপকূলে ও সমুদ্রতীরের দূরবর্তীতে সংরক্ষণাগার ও পুনরায় গ্যাসীকরণ অবকাঠামো উন্নয়ন। সামিটের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, জেটরোর চেয়ারম্যান নোরিহিকো ইশিগুরো, সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, সামিট করপোরেশনের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক ফয়সাল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেরা-এশিয়ার সিইও তোসিরো কুদামা বলেন, জেরা সামিটকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখতে আগ্রহী।
সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, একটি দেশের জ্বালানি ব্যয়কেই এখন তার সমৃদ্ধির মাপকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়। উচ্চ সুদের হার, বিঘ্নিত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা আর জ্বালানির বাজারে অস্থিরতার কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সামিট জেরাকে সঙ্গে নিয়ে এলএনজির প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ ও সরবরাহ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমাধানের প্রস্তাব করছে।

সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে প্রায় ২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) মালিকানা ও পরিচালনার দায়িত্বে আছে সামিট। ভাসমান এই টার্মিনাল থেকে দিনে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।

সামিট গ্রুপ ২০১৯ সালে জেরার কাছ থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করে। বর্তমানে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার জেরার কাছে রয়েছে। এমন তথ্য দিয়ে শিল্পগোষ্ঠীটির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জ্বালানি খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় সামিট গ্রুপ। বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি, সংরক্ষণ ও বিতরণে কক্সবাজারে আরও নতুন দুটি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।