তুরস্কের বিনিয়োগ চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কর অব্যাহতিসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে। ফলে এ দেশের ওষুধ, পর্যটন, পাট, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে তুরস্ক।

বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের ফরেন ইকোনমিক রিলেশনস বোর্ড অব তুর্কিয়ে (ডিইআইকে) ও তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজ সোমবার এক সভায় কথাগুলো বলেন মাহবুবুল আলম। এফবিসিসিআইর রাজধানীর মতিঝিলের কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, বস্ত্র, রাসায়নিক শিল্প, প্রকৌশল, নির্মাণ ও জ্বালানি খাতে তুরস্কের ১৫-২০টি কোম্পানি কাজ করছে। এ ছাড়া শতাধিক তুর্কি কোম্পানি বাংলাদেশে উৎপাদন, নির্মাণ ও প্রকৌশল খাতে সেবা প্রদান করছে।

সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কর অব্যাহতি ও শুল্ক প্রত্যাহারসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, এসব সুবিধা নিয়ে ওষুধ, পর্যটন, পাট, জ্বালানি ও প্রযুক্তির মতো খাতগুলোয় বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে তুরস্ক।

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ভৌগোলিকভাবে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যবর্তী জায়গায় তুরস্কের অবস্থান। আবার বাংলাদেশও আসিয়ান এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যবর্তী জায়গায় রয়েছে। ফলে ভৌগোলিক এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউরোপ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করতে পারে দুই দেশ।

সফররত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন তুর্কি-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হিদায়েত ওনুর ওজদেন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি যশোদা জীবন দেবনাথ প্রমুখ।