প্রথম আলো ফাইল ছবি

গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বাজারে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম সামান্য কমেছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় সবজির সঙ্গে নেমে এসেছে ডিম ও মুরগির দামও। আমদানি শুরুর পর পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই কিছু না কিছু কমছে। চালের বাজারেও আছে পরিবর্তন। তবে চিনি, সয়াবিন তেল, আটা-ময়দা ও ডালের দাম এখনো উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।

দাম এখন যেখানে আছে, এর চেয়ে আরেকটু কমলে সবার জন্য ভালো হতো।
ডিম-মুরগি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম

রাজধানীর মগবাজার, মহাখালী ও তেজগাঁওয়ের একাধিক বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। তাতে কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পটোল ও ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। বেগুন, করলা, ঝিঙে, ধুন্দুল, বরবটি ও টমেটোও মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

আরও পড়ুন

ইউক্রেন যুদ্ধের যুক্তি ডিম–মুরগি খেতে না পারার কষ্ট ভোলাবে কি?

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার প্রথম আলোকে বলেন, এই সময়ে এবার বৃষ্টি কম হয়েছে। তাতে সবজি নষ্ট হয়নি। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম তুলনামূলক কম।

মুরগির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কম দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ২০ টাকার মতো বেশি ছিল। গরু মাংসের কেজি পড়ছে ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকা। খাসির মাংস দরদাম করে কিনলে ১ হাজার টাকায় কেনা যাচ্ছে। ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। বাদামি রঙের ডিমের ডজন এখন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আর সাদা রঙের ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

আরও পড়ুন

ডিম-মুরগির দাম বেশি হওয়ার কারণ জানালেন উৎপাদনকারীরা

মহাখালী বাজারের ডিম-মুরগি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দাম এখন যেখানে আছে, এর চেয়ে আরেকটু কমলে সবার জন্য ভালো হতো।

এদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম প্রতিদিনই একটু করে কমছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।

এদিকে বোরো ধান বাজারে আসায় বিআর ২৮ চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা কমে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চিনি, সয়াবিন তেল, আটা-ময়দা ও ডালের মতো পণ্যের দাম এখনো উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে।

কলমিলতা বাজারে বিজয় সরণি এলাকার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম পেঁয়াজের দাম সামান্য কমায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, সরকার চাইলে দাম কমাতে পারে, তা বোঝা গেল।