১০ কারুশিল্পীকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার দিল বিসিক

নিজেদের কাজে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতার জন্য দেশের ১০ জন কারুশিল্পী পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ জনকে শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে ‘কারুরত্ন’ ও বাকি ৯ জনকে ‘কারুগৌরব’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) দক্ষ কারুশিল্পীদের এই স্বীকৃতি দিয়েছে।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘কারুশিল্প পুরস্কার ১৪৩০’ অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। একই আয়োজনে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি ও শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। আলোচকদের মধ্যে ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

বিসিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এ বছর শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে শোলাশিল্পের জন্য কারুরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন ঝিনাইদহের গোপেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। কারুগৌরব পুরস্কার পেয়েছেন ৯ জন। তাঁরা হলেন পাটশিল্প খাতে আনিকা আঞ্জুমী, শঙ্খশিল্পে অনুপ নাগ, সুচিশিল্পে আসমা, তাঁত ও বস্ত্রশিল্পে খোকন বসাক, মৃৎশিল্পে খোকন পাল, পুতুলশিল্পে বীথিকা জোদ্দার, শতরঞ্জিশিল্পে মো. আনোয়ার হোসেন, বাঁশ ও বেতশিল্পে মোছা. জাহানারা আক্তার এবং রিকশা পেইন্টিং–শিল্পে এস এ মালেক।

বিসিক জানায়, কারুরত্ন পুরস্কার পাওয়া গোপেন্দ্র নাথকে ৫০ হাজার টাকা এবং কারুগৌরব পাওয়া ৯ কারুশিল্পীর প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিজয়ী প্রত্যেককে পুরস্কারের সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই যাত্রায় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বিসিক কাজ করছে। বিসিকের উদ্যোগে দেশের কারুশিল্পের উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

মূল প্রবন্ধে মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, শিল্পোন্নয়নে অব্যাহতভাবে কর্মসংস্থান ও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন জরুরি। দেশে আনুমানিক ৪০ থেকে ৪২ লাখ সিএমএসএমই উদ্যোক্তা রয়েছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে বিশেষ প্রকল্প তৈরি, বাজার সমীক্ষা চালানো, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ ও সহজ শর্তে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে বিসিক ভূমিকা রাখতে পারে।