বারবার নিলামের দিন শেষ, সর্বোচ্চ দর দিয়ে প্রথম নিলামেই পণ্য কেনার সুযোগ
নিলামে পণ্য কিনতে হলে এখন থেকে প্রথমবার সর্বোচ্চ দরদাতা হলেই চলবে। সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে পণ্য বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা দিয়ে বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল বুধবার এনবিআর এ আদেশ জারি করে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার–জট নিরসনে এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে। বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম কাস্টমসের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি হওয়া নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যের নিলামে এই সুযোগ রয়েছে। অবশ্য এই বিশেষ আদেশের মধ্যে সব ধরনের যানবাহন বাদ দেওয়া হয়েছে।
আগের নিয়মে বারবার নিলামে তুলেও পণ্য বিক্রির হার ছিল কম। কারণ, আগের নিয়মে কাস্টমস কোনো পণ্যের প্রথম নিলামে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের বেশি দর পেলে পণ্য বিক্রি করতে পারত। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দরদাতা হলেও ৬০ শতাংশের বেশি দর না দিলে পণ্য বিক্রির সুযোগ ছিল না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ বাজারদরের চেয়ে বেশি হতো। এর ফলে প্রথমবার নিলামে পণ্য বিক্রির নজির ছিল কম। দ্বিতীয়বার অবশ্য প্রথমবারের চেয়ে বেশি এবং সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে পণ্য বিক্রির সুযোগ ছিল। এর ফলে কোনো পণ্য বিক্রি করতে হলে বারবার নিলামে তুলতে হতো। নতুন আদেশে এই জটিলতা কাটল।
নতুন আদেশে নিলাম ছাড়াও বিকল্প উপায়ে পণ্য হস্তান্তরের সুযোগ রাখা হয়েছে। যেমন চিনি, ডাল, তেলসহ পচনশীল পণ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে প্রস্তাবিত মূল্যে বিক্রি করতে হবে। সব ধরনের সুতা তাঁত বোর্ডের অফার মূল্যে তাঁত বোর্ডকে প্রদান করতে হবে। মদ ও মদজাতীয় পানীয় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্ডেন্ড প্রতিষ্ঠানের কাছে অফার মূল্যে বিক্রি করতে হবে। সার বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার সমিতির সদস্যদের কাছে অফার মূল্যে বিক্রি করতে হবে। এ ছাড়া বিস্ফোরক, ওষুধের কাঁচামালও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে আদেশে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষ আদেশের কারণে বন্দর থেকে অন্তত তিন হাজার কনটেইনার পণ্যের দ্রুত নিলাম সম্পন্ন করা যাবে। এতে বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনার অপসারণের সুযোগ হবে।