বাণিজ্যিক আদালত স্থাপনের উদ্যোগে খুশি ডিসিসিআই
দেশে বাণিজ্যিক আদালত স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যদিও আমাদের অর্থঋণ আদালত এবং বিকল্প বিরোধ আইন-২০০১ রয়েছে, তবু এগুলো বাস্তবায়নের দুর্বলতা ও সীমিত পরিসরের কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। এ অবস্থায় কমার্শিয়াল কোর্ট অর্ডিনেন্স-২০২৫ তথা বাণিজ্যিক আদালত অনুমোদন একটি প্রশংসনীয় ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে ঢাকায় তাঁর সুপ্রিম কোর্টের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি এমন অভিমত দেন। এ সময় ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এ এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত বুধবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ডিসিসিআই আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্যিক পটভূমিতে একটি উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দক্ষ বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি দেশের বিদ্যমান অস্বাভাবিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্যের উন্নয়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রশংসা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাসকীন আহমেদ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিততে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, দৈনন্দিন আদালত কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রশংসা করেন, যা কি না বেসরকারিখাতের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিসিসিআই সভাপতির বক্তব্যের জবাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত করতে এবং এটির কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে এটি আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে আরও সহজ করতে সক্ষম হয়।’ তিনি বেসরকারি খাতের জন্য অনুকূল পরিবেশ উন্নয়নে আরও অবদান রাখতে ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্ট ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
প্রধান বিচারপতি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষায় বেসরকারি খাতের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে ঢাকা চেম্বারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য উন্নয়নে ঢাকা চেম্বার আরও বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।