ইইউ প্রতিনিধিরা যা জানতে চাইলেন

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। গতকাল বিজিএমইএর গুলশনা কার্যালয়েছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রম আইন কার্যকরের বিষয়ে অগ্রগতি কত দূর, বিজিএমইএ তথ্যভান্ডারে শ্রমিকদের কেন কালোতালিকাভুক্ত করা হচ্ছে, শ্রমিকেরা কেন জীবনধারণের উপযোগী মজুরি পাবেন না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশ কেন মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে যাচ্ছে না—ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান।

জানা যায়, তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতাদের সঙ্গে গতকাল সোমবার বৈঠককালে এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। বিজিএমইএর গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলে ছিলেন জোসে ম্যানুয়েল গার্সিয়া-মার্গ্যালো, সোভেন সিমন, অ্যাগনেস জঙ্গেরিয়াস, জর্ডি ক্যানাস পেরেজ, ম্যাক্সিমিলান ক্রাহ। অন্যদিকে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি মিরান আলী, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সহসভাপতি ফজলে এহসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের জানিয়েছি, বিজিএমইএর তথ্যভান্ডারে শ্রমিকদের কালোতালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না। বরং তাদের সুযোগ-সুবিধা দিতেই এটি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশি মানদণ্ডে পোশাকশ্রমিকদের জীবনধারণের উপযোগী মজুরি দেওয়া হচ্ছে। দু-তিনটি খাত ছাড়া পোশাকশিল্পের শ্রমিকেরা সর্বোচ্চ মজুরি পাচ্ছেন।’

শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের এ প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে।