সংকটে হাসপাতালে চলে যেতেন ভাসানী, অর্থমন্ত্রীও কি তাঁকে অনুসরণ করছেন

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

দেশের খ্যাতনামা রাজনৈতিক নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে নেতিবাচকভাবে তুলনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে একটা অপবাদ আছে। রাজনৈতিক সংকট হলেই তিনি নাকি হাসপাতালে চলে যেতেন। আমাদের অর্থমন্ত্রীও তা অনুসরণ করছেন কি না, আমি জানি না।’

ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক-ইন সেন্টারে আজ শনিবার ‘সংকটে অর্থনীতি: কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সংলাপের আয়োজন করে। সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহানের সঞ্চালনায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি ছিলেন।

আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। অথচ অর্থমন্ত্রীকে (আ হ ম মুস্তফা কামাল) কোনো কিছুতে দেখছি না। তিনি মিসিং, তাই তাঁর মন্ত্রণালয়ও মিসিং। একচ্ছত্র নীতিতে চলছে সব। এটা অনেক বড় সমস্যা। এভাবে চললে আমরা বিপদে পড়ব।’

দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া ও বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে কর নেওয়ার মাধ্যমে সেগুলো বৈধ করারও প্রস্তাব দেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনৈতিক সংকটকালে যথাযথ নেতৃত্বের অভাব দেখা যাচ্ছে। পুরো সময়টাতেই রয়েছে এ নেতৃত্বের অভাব। অর্থমন্ত্রী একজন আছেন, আমরা তাঁকে বেশির ভাগ সময় দেখতে পাই না। গুরুত্বপূর্ণ সংকটের সময়, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার সময় এ ধরনের নেতৃত্বের অভাব খুবই দুঃখজনক।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রমিকনেতা কামরুল আনাম বলেন, এ আয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের মতামত পেলে আরও ভালো হতো। বিদেশে কারা টাকা পাচার করছেন, তাঁর গবেষণা করা দরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

কামরুল আনাম আরও বলেন, পি কে হালদারের মতো যাঁরা কোটি টাকা পাচার করছেন, তাঁদের ধরে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আরও পড়ুন