ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হয়রানি বন্ধের আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের

এফবিসিসিআইছবি: সংগৃহীত

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হয়রানি বন্ধে সরকার–সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বারবার এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযানের নামে তাদের হয়রানি ও জরিমানা করা হচ্ছে।

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘পণ্য সরবরাহ ও বাজারব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে তদারকি ও অভিযান গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না করে, সিন্ডিকেটে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে বারবার এসএমই উদ্যোক্তাদের হয়রানি ও জরিমানা করা হয়। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই প্রচেষ্টা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

আজ শনিবার রাজধানীর এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহবুবুল আলম। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরাও একেকজন ভোক্তা। ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাটা জরুরি। সরবরাহব্যবস্থা ঠিক থাকলে বাজারে কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে না।

সভায় এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ভোক্তার অধিকারের বিষয়ে আরও বেশি প্রচার–প্রচারণা চালানো উচিত। পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদন, বিক্রি, আমদানি ও রপ্তানির যথেষ্ট তথ্য–উপাত্ত থাকা আবশ্যক।

ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির পরিচালক মো. আবুল হাসেম বলেন, অনেক সময় আমদানি খরচ বেড়ে গেলে পণ্যের দাম বাড়ে। আবার কখনো কখনো সরকারনির্ধারিত দাম থেকে কম দামেও পণ্য বিক্রি হয়। পণ্যের মূল্য নির্ধারণে আমদানি খরচের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

পণ্য সরবরাহের সঠিক তথ্য–উপাত্ত থাকলে সারা বছর স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি সম্ভব বলে মনে করেন আবুল হাসেম।

অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, বাজারে বা দোকানে অব্যবস্থাপনা পেলে সতর্ক ও জরিমানা করে থাকে কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীদেরকে পণ্য ক্রয়–বিক্রয়ের রশিদ যথাযথভাবে সংরক্ষণের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, পরিচালক আবু মোতালেব, হাজী হারুন অর রশীদ, মো. এনায়েত উল্লাহ, নিয়াজ আলী চিশতী, কাওসার আহমেদ, আমির হোসন নূরাণী প্রমুখ।