সোনার দাম আরও বাড়ল, ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা

বিশ্ববাজারে সোনার দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। তাতে গতকাল শুক্রবার প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৯২০ ডলারে পৌঁছায়, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেই উত্তাপে আজ শনিবার দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এতে এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা লাগবে। কাল রোববার থেকে সারা দেশের সোনার এই নতুন দর কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ শনিবার সোনার দাম বাড়ানোর বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়েছিল সমিতি। তার আগে ৩০ ডিসেম্বর দাম বাড়ে ১ হাজার ১৬৬ টাকা। তার মানে গত ১৭ দিনে তিনবারে সোনার দাম ভরিতে ৬ হাজার ১৮২ টাকা বেড়েছে। জুয়েলার্স সমিতি গত তিন দফা সোনার দাম বাড়ানোর সময় বলেছে, স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে খাঁটি সোনার দাম বেড়েছে। মূলত বিশ্ববাজারে সোনার মূল্যবৃদ্ধির কারণে বুলিয়ন মার্কেটেও বেড়েছে।

নতুন করে দাম বাড়ায় কাল থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। এ ছাড়া হলমার্ক করা ২১ ক্যারেট সোনার ভরি ৮৯ হাজার ১৭১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৬ হাজার ৪৫৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরির দাম হবে ৬৩ হাজার ৬৮৫ টাকা।

আজ শনিবার পর্যন্ত হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া হলমার্ক করা ২১ ক্যারেট ৮৬ হাজার ৬০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৪ হাজার ২৪১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ৬১ হাজার ৮৭৮ টাকায় বিক্রি হয়।

সমিতির তথ্যানুযায়ী, রোববার থেকে ২২ ক্যারেট সোনার ভরিতে ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ৫৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ২ হাজার ২১৭ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ১ হাজার ৮০৭ টাকা বাড়ছে।

এ দফায় সোনার দাম বাড়লেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম বেড়ে ১ হাজার ৫০ টাকা হবে।

জানতে চাইলে জুয়েলার্স সমিতির সহসভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম গত শুক্রবার যতটুকু বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে প্রতি ভরির দাম হওয়ার দরকার ৯৬ হাজার টাকা। পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের বুলিয়ন বাজারে খাঁটি সোনার ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। সে কারণে দাম ততটা বাড়ানো হয়নি।

ব্যবসা-বাণিজ্যের কী অবস্থা—জানতে চাইলে দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, খুব দরকার না হলে কেউ সোনার অলংকার বানাতে আসছেন না।