রিহ্যাবের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু, ভোট ২৪ ফেব্রুয়ারি
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) স্থগিত হওয়া নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে সদস্যপদ নবায়ন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াসহ সবকিছুই আবার নতুন করে হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী দুই বছরের জন্য রিহ্যাবের নেতৃত্ব নির্বাচনের তফসিল আজ রোববার বিকেলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে সকালে সংগঠনটিতে প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি আগামী তিন মাসের মধ্যে রিহ্যাবের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। পাশাপাশি সংগঠনটির দৈনন্দিন কার্যক্রমও পরিচালনা করবেন তিনি।
জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গতকাল এক অফিস আদেশের মাধ্যমে উপসচিব সাদেক আহমদকে প্রধান করে তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ড গঠন করেছে। বোর্ডের অপর দুই সদস্য হলেন উপসচিব নুসরাত আইরিন ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান। আর তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে আছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে সদস্যপদ নবায়নের কাজ সম্পন্ন হবে। প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৪ জানুয়ারি। সেই তালিকার ওপর আপত্তি ও শুনানির পর ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। ১৬ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে ৩১ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ১-৩ ফেব্রুয়ারি। সংগঠনের ২৯টি পরিচালক পদের নির্বাচন হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
বেশ কয়েক মাস ধরেই রিহ্যাবের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা চলছিল। মামলা-পাল্টামামলার ঘটনাও ঘটেছে। স্থগিত হয়েছে সংগঠনটির সব ব্যাংক হিসাব। অবশেষে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রিহ্যাবে প্রশাসক নিয়োগ করে।
গত ৯ অক্টোবর রিহ্যাবের পর্ষদ নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের সব কার্যক্রম বাতিল করে রিহ্যাবের সদ্যবিদায়ী কমিটি। গত আগস্টে নির্বাচন বোর্ড গঠনে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মানা হয়নি—বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এমন অভিযোগ দেয় রিহ্যাবের একটি পক্ষ। এ ছাড়া ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে যান বর্তমান পর্ষদের একাধিক সদস্য। একপর্যায়ে নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ডের সদস্যরা পদত্যাগ করেন। শেষ পর্যন্ত বাতিল হয় নির্বাচন।
একসময় উৎসবমুখর পরিবেশে রিহ্যাবে ভোটাভুটি হতো। ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই সভাপতি পদে আসেন আলমগীর শামসুল আলামিন। পরের তিন মেয়াদেও সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি হয়েছে এই সংগঠনে। প্রশাসকের অধীনে অনুষ্ঠেয় আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রিহ্যাবের একাধিক সদস্য।