শেয়ারবাজার নিয়ে গুজব ছড়ানো ব্যক্তির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

শেয়ারবাজার
গ্রাফিকস: প্রথম আলো

শেয়ারবাজার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর মামলায় আটক হওয়া ব্যক্তির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের (উত্তর) পরিদর্শক মো. দাউদ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আগামীকাল কারাগার থেকে রিমান্ডের জন্য আনা হবে।

ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এনে গত বছরের ২০ নভেম্বর মো. আবু রমিম ওরফে মঈনউদ্দিন তামিম নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর ওই ব্যক্তিকে ১২ মার্চ কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আজ তাঁর রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ওই ব্যক্তির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বিডি স্টকস ডিসকাশন’ নামে একটি গ্রুপে শেয়ারবাজার নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেন মঈনউদ্দিন তামিম। বিএসইসি দীর্ঘ সময় ফেসবুক গ্রুপটি ফলো করে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রমাণ পায়। তারই অংশ হিসেবে আবু রমিমের বিরুদ্ধে গত বছরের ২০ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটে (উত্তর) স্থানান্তরিত হয়।

আসামি ২৩ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে ১২ মার্চ তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চান। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান।

বিএসইসির করা মামলায় অভিযুক্ত আসামির স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয় ফেনীর দাগনভূঞা। আর অস্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন চকবাজার এলাকায়। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন জানান, মামলার এজাহারে অভিযুক্ত আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছিল আবু রমিম। কিন্তু তাঁরা জেনেছেন, আসামির প্রকৃত নাম মঈনউদ্দিন তামিম।

এদিকে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘শেয়ারবাজার নিয়ে গুজব ছড়ানো বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপ ও সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন। এরই মধ্যে কিছু ফেসবুক গ্রুপ বন্ধ করা হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’ রেজাউল করিম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারবাজার নিয়ে যেকোনো ধরনের গুজব ছড়ানো সিকিউরিটিজ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।