মিডিয়া ইনোভেশন পুরস্কার দেবে দারাজ

দেশের গণমাধ্যমগুলোকে উদ্ভাবনীর স্বীকৃতি দিতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড। ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে স্থানীয় গণমাধ্যমের যেসব উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেশকে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে, সেসব উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতেই এ পুরস্কার দেবে দারাজ।

‘বাংলাদেশ মিডিয়া ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস-২০২২’ নামের এই পুরস্কার ৪টি বিভাগে ২৪টি ক্ষেত্রে দেওয়া হবে। রোববার দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণমাধ্যম খাতে উদ্ভাবনী সক্ষমতা অনুশীলনের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের নতুন নতুন পথ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে উৎসাহ দিতেই মূলত এ পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম প্রকাশনা, বিজ্ঞাপনদাতা ও সম্প্রচারকারীদের মধ্যে ডিজিটাল রূপান্তর, কনটেন্ট মার্কেটিং ও সংবাদ প্রচারের মতো ক্ষেত্রগুলোতে উদ্ভাবনীর অনুশীলন ও আধুনিক মিডিয়া প্রোডাকশনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীর প্রয়োগকে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হবে।

পুরস্কারটি ইয়ুথ এনগেজমেন্ট, ব্রডকাস্ট ইনোভেশন, ডিজিটাল ইনোভেশন ও প্রিন্ট ইনোভেশন—এ ৪ বিভাগের আওতায় ২৪টি ভিন্ন ক্ষেত্রে নির্বাচিত বিজয়ী গণমাধ্যমগুলোকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের জন্য নিবন্ধন ফরম (এন্ট্রি ফরম) এবং সহায়ক কাগজপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২০ আগস্ট। এ ছাড়া পুরস্কার সম্পর্কে বিস্তারিত https://www.mediainnovationawardsbd.com/ ঠিকানায় জানা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপদানে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি। দারাজের উদ্যোগ এই স্বপ্নকে আরও সামনে এগিয়ে নেবে।’

এই আয়োজনে অংশীদারত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এসবিকে ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির বলেন, প্রযুক্তি খাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যমসহ সব ক্ষেত্রে এর পূর্ণ শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল রূপান্তরের প্রশ্নে গণমাধ্যমের সামনে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। প্রযুক্তির সম্ভাব্যতাকে কাজে লাগিয়ে বিষয়টিকে আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব।

দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তাজদীন হাসান বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। দর্শক ও পাঠকদের কনটেন্ট উপভোগের ক্ষেত্রে বেশ রূপান্তর ঘটছে। ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে কনটেন্টের ধরনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। গ্লোবাল ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির পূর্বশর্তটি পূরণ করা গেছে। এতে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। এটি বিবেচনা করেই মিডিয়া ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুসসহ দারাজের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে রিবুট লিমিটেড এবং ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস বাংলাদেশ।