রাজধানীর পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার ফটকে মেট্রোরেল

ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয় বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক তৈরি করা হয়েছে মেট্রোরেলের আদলে। পাশাপাশি সেখানে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর একটি প্রতিচ্ছবিও রাখা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারটি পিলারের উড়ালপথের কাঠামোর ওপর দিয়ে মেট্রোরেল চলছে, এমন একটি কাঠামোর আদলে দুটি ফটক বানানো হয়েছে। এর একটি মেলায় দর্শনার্থীদের প্রবেশপথ এবং অন্যটি বাহির হওয়ার পথ।

মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, প্রতিবছর মেলার ফটক সাজানো হয় সরকারের কোনো না কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরে। সে জন্য এ বছর মেট্রোরেলের আদলে ফটক নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে গত বছর পদ্মা সেতুর আদলে বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক তৈরি করা হয়েছিল।

গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীতে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেলে যাত্রী চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে রাজধানীর দিয়াবাড়ি (উত্তরা) স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। এ বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে বাণিজ্য মেলার ফটকে।

বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও ইপিবি সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘মাত্র কয়েক দিন আগে আমাদের মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হবে। তাই এই বৃহৎ প্রকল্পের সুফল প্রচার করতে মেট্রোরেলের আদলে বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটকটি তৈরি করা হয়েছে।

পাশাপাশি মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনা তৈরি হবে। এ বিষয়ও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।

১ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৭তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাসব্যাপী এ মেলায় ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

মেলায় সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১০টি দেশের ১৭টি স্টল থাকবে। এবার মেলায় প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে গত বছরের মতোই, বড়দের জন্য ৪০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২০ টাকা।