বিবিএসের জরিপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
৬০৯ জন উত্তরদাতার ৩৫ শতাংশ বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সন্তুষ্ট। বাকি ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা সন্তুষ্ট নন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি-সংক্রান্ত একটি জরিপের উত্তরদাতার সংখ্যা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভুটানের মতো সাড়ে সাত লাখ জনগোষ্ঠীর দেশে এ ধরনের জরিপে অংশগ্রহণকারী উত্তরদাতার সংখ্যা ৯৬০। বাংলাদেশ সাড়ে ১৭ কোটি জনগোষ্ঠীর দেশ হয়েও উত্তরদাতা নেওয়া হয়েছে মাত্র ৬০৯ জন। এর ব্যাখ্যা আমরা কীভাবে দেব?’
বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপনার পরপরই পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রসঙ্গটি তোলেন। আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর এই প্রসঙ্গ তোলার পর বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান নিজেও বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। মূল প্রশ্ন হলো, এই স্যাম্পল সাইজ পুরো জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে কি না। যদি পেশাভিত্তিক সংখ্যা পাওয়া যেত, তাহলে অংশগ্রহণভিত্তিক স্যাম্পল পাওয়া যেত। ভবিষ্যতে এসব ঠিকঠাক করে জরিপ করা হবে। প্রথমবার বলে ভুলত্রুটি রয়ে গেছে।’
বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত যেসব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে, তারা কতটা সন্তুষ্ট, তা নিয়েই জরিপ করে বিবিএস। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, মতামত প্রদানকারীদের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সন্তুষ্ট। বাকি ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা সন্তুষ্ট নন। তাঁদের তথ্যের চাহিদা আরও বেশি। তাঁরা আরও তথ্য-উপাত্ত চান।
তাঁদের অসন্তুষ্টির ৫টি কারণ বলা হয়েছে। এগুলো হলো পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত দেওয়া হয় না; পুরোনো তথ্য-উপাত্ত; প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে না; আরও তথ্যের প্রয়োজন; তথ্যের উপস্থাপনা ব্যবহারযোগ্য নয়। তবে ওই জরিপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা হয়নি।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা অসন্তুষ্ট, তা নয়। তাঁরা আরও বেশি তথ্য চান।
বিবিএসের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলা হয়। বিশেষ করে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাব এবং মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়েই বেশি প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষকেরা।