ছোট একটি লেবুর দাম ১০ টাকা

রোজা শুরু হতেই লাফিয়ে বেড়ে গেল লেবুর দাম। খুচরা বাজারে মান ভেদে প্রতি হালি লেবুর দাম পড়ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তাতে একটি লেবুর দাম পড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সারা দিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় গলা ভেজাতে লেবুর শরবতই অনেকের কাছে প্রিয়। এদিকে মৌসুম না হওয়ায়, বছরের এ সময়ে বাজারে লেবুর সরবরাহ কম। সব মিলিয়ে চড়ে গেছে লেবুর বাজার। পাশাপাশি শসা, বেগুনের দামও বেশ বাড়তি। বেড়েছে পাকা কলার দামও।

আরও পড়ুন

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার এলাকা ঘুরে এবং মালিবাগ ও মহাখালীর সবজি বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে মান ভেদে লেবু বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। ৪০ টাকা হালিতে যেসব লেবু বিক্রি হচ্ছে, তা আকারে বেশ ছোট। ৬০ টাকা হালির লেবুগুলো বড়। তবে আরও বেশি দামের বড় লেবুও বাজারে আছে।

মগবাজারের সবজি বিক্রেতা নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এখন লেবু পাওয়া যাচ্ছে কম। অনেক লেবুতে রসও ভালোভাবে আসেনি। এরপরও রোজা উপলক্ষে এসব লেবুর কাটতি বেশ। তাতে দাম কিছুটা বাড়তি।

রোজায় লেবুর পাশাপাশি শসা ও বেগুনের মতো সবজির চাহিদা বেড়ে যায়। যথারীতি এ পণ্য দুটির দামও বেড়ে গেছে। গতকাল মান ভেদে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহ থেকে শসার দাম এই সপ্তাহে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মগবাজারে সবরি কলার ডজন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকার ওপরে। চাঁপা কলার ডজন পড়ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। আর প্রতি ডজন সাগর কলার দাম ছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকা। বাজারে এই তিন ধরনের কলার দামই গত সপ্তাহ থেকে ডজনে ১০ থেকে ২০ টাকার মতো বেড়েছে।

রোজায় ইফতারিতে মুখরোচক বেগুনি তৈরিতে বেগুনের চাহিদা বেড়ে যায় বরাবরই। এতে করে বাজারে বেগুনের দামও চড়া। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকায়। বেগুনের দাম এক সপ্তাহে বেড়েছে ১০ টাকা। বাজারে অন্যান্য সবজির দামেও খুব বেশি স্বস্তি নেই। করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বরবটি, পটোল, ঢ্যাঁড়সের দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। পেঁপে ও মুলা ছাড়া কোনো সবজির দাম কেজিতে ৫০ টাকার নিচে নেই।

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার প্রথম আলোকে বলেন, লেবু, শসা ও পাকা কলার মতো পণ্যের দাম একটু বেড়েছে। তিনি নিজেও ১২০ টাকা ডজন কলা কিনেছেন। তবে কৃষকের উৎপাদন ও পরিবহন খরচ যেভাবে বেড়েছে, সবজির দাম সেই তুলনায় কম আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এবারের রোজা ঘিরে বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম চড়ে গেছে। মাছের দামও বাড়তি। চাল, ডাল, আটা, সয়াবিন তেলের মতো নিত্যপণ্য উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। বেড়েছে ছোলা ও খেজুরের দামও।

মধুবাগের বাসিন্দা আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে ঠিক কত টাকা নিয়ে এলে পরিকল্পনামতো পণ্য নিয়ে ফেরা যাবে, এই নিশ্চয়তা নেই। প্রতিদিনই শুনি, কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে বা বাড়ছে।