সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করতে সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কিনছে সরকার

সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮০ লাখ কেজি মসুর ডাল কিনবে সরকার। সচিবালয়ে আজ বুধবার কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

আগামী রমজান উপলক্ষে টিসিবির জন্য ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কেনা হচ্ছে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আগামী রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে কি না, জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যেটা অনুমোদিত হয়েছে, তা টিসিবির জন্য। এসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে এক কোটি মানুষের কাছে বিক্রি করা হবে। এটা আমরা নিয়মিত দিয়েই যাচ্ছি।’ রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট হবে না বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৪ মার্চ রমজান শুরু হওয়ার কথা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খানও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, সয়াবিন তেল কিনতে ১৯৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং মসুর ডাল কিনতে ৭৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে। মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়বে ১৭৬ টাকা ৮৮ পয়সা।


প্রতি কেজি ডাল কিনতে লাগবে ৯১ টাকা ৬০ পয়সা। তুরস্কের আরবিল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক থেকে এ ডাল কেনা হবে। এ কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট বিআইএনকিউ বলে জানান অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

এদিকে ফল আমদানিতে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না বলে ফলের দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, যদিও রোজায় ফলের চাহিদা বেশি থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচুর ফল উৎপাদিত হচ্ছে। এগুলোরও মূল্য পাওয়া দরকার। তবে আমাদের এখন দেখতে হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রায় যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। সে জন্য আমদানি কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। সময় ভালো হলেই খুলে দেওয়া হবে।’