ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল যুগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বর্তমানে আমরা এমন এক সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে ডিজিটাল ব্যাংকিং, মোবাইলে আর্থিক সেবা ও এজেন্ট ব্যাংকিং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দ্রুত রূপান্তর ঘটাচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন ডিজিটাল যুগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। ডেটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অনলাইন সেবা ও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম আধুনিকায়ন করতে হবে। তবে খাতটির বিকাশে কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’

টাঙ্গাইলের বাসাইলে ওয়াটার গার্ডেন রিসোর্টে আজ শনিবার আয়োজিত ‘ব্যাংক–এমএফআই লিঙ্কেজ’ শীর্ষক এক আঞ্চলিক সেমিনারে গভর্নর এ কথা বলেন। গভর্নর আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের হিসাবায়নে একটি ফায়ারওয়াল তৈরি করতে হবে, যেখানে সামাজিক কার্যক্রম ও ঋণ কার্যক্রম আলাদাভাবে দেখানো হবে। একসময় ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে যেত না, এখন যাচ্ছে। বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মূলধারার ব্যাংকগুলো গ্রামীণ অর্থনীতিতে সেবা দিচ্ছে। আগামী দিনে ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন পেলে আরও দ্রুত গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সহজে ঋণ পাবে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী পরিচালক নূরে আলম মেহেদী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমআরএর যুগ্ম পরিচালক রনজিত কুমার সরকার এবং সঞ্চালনা করেন এমআরএর পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

সেমিনারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান, ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ্, ব্যুরো বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. জাকির হোসেন, টিএমএসএসের প্রধান নির্বাহী হোসনে–আরা বেগম, পপির নির্বাহী পরিচালক মুর্শেদ আলম সরকার, বীজ–এর প্রধান নির্বাহী মো. ইকবাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। সেমিনারে টাঙ্গাইল, জামালপুর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও দেশের শীর্ষ ২০ ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা অংশ নেন।