ঝুট কাপড়ের রপ্তানি বন্ধ চান বস্ত্রকলমালিকেরা

তৈরি পোশাক কারখানার ফেলনা টুকরা কাপড় বা ঝুট রপ্তানি বন্ধের দাবি করেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর নেতারা। তাঁরা বলছেন, যেসব কারখানা ঝুট পুনঃ প্রক্রিয়াজাত করে সুতা তৈরি করে, সেই সব দেশীয় সুতার মিল ঝুটের অভাবে বিপাকে পড়েছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর নেতারা বলেন, মাঝে কয়েক বছর ঝুট রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা আবার খুলে দেওয়া হয়েছে এবং সে কারণেই ঝুটের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

চার দিনব্যাপী ১৭তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস মেশিনারি এক্সিবিশনের বা ডিটিজি বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলী বলেন, বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানিতে কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের চাহিদা আগামীতে ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশেও কৃত্রিম তন্তুর সুতা ও কাপড় তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়ছে। বর্তমানে ৫টি কারখানা বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যকে পুনঃ প্রক্রিয়াজাত করে তন্তু তৈরিতে নিয়োজিত আছে। আবার ৫০টি কারখানা পলিয়েস্টার, ভিসকসসহ বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম তন্তু দিয়ে সুতা তৈরি করছে।

এ ছাড়া ২০টির মতো কারখানা ঝুট কাপড় থেকে পুনঃ প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে প্রথমে তুলা, তারপর সুতা তৈরি করছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশে এখনো কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার খুবই কম করা হচ্ছে। তাই যেসব কারখানা ঝুট কাপড় ব্যবহার করে সুতা তৈরি করে, তাদের সুবিধা দিতে ঝুটের রপ্তানি বন্ধের জন্য তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীর পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েসংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আগামী বুধবার এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হবে। এতে বাংলাদেশ, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, হংকং, ইতালি, জাপানসহ ৩৫ দেশের ১ হাজার ২০০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। প্রদর্শনীর ১৯টি হলে বুথ থাকবে ১ হাজার ৬০০টি।

বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ এবং হংকংয়ের ইয়োর্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেস কোম্পানি যৌথভাবে প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত তিন বছর ডিটিজি অনুষ্ঠিত হয়নি।