রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি ও সংকুচিত মুদ্রানীতি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদফাইল ছবি: প্রথম আলো

পণ্য বৈচিত্র্যকরণ নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা জাতীয় শুল্কনীতি সংশোধন করে আরও রপ্তানিবান্ধব করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, মূল্যস্ফীতি ও সংকুচিত মুদ্রানীতি একটি দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) বুধবার ‘ইকোনমিক ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড গ্লোবাল মার্কেট: বাংলাদেশ অপরচুনিটি অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি ও সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. হেলাল উদ্দিন বক্তব্য দেন।

বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. দীন ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহদাত হোসেন সিদ্দিকী ও অধ্যাপক রোজানা রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার এখনকার ভূরাজনীতি ও ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দুই-ই সৃষ্টি করে। ফলে এ পরিস্থিতিতে সরকার সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তিনি রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং এর থেকে আয় বাড়িয়ে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জোর দেন।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পের ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প, ওষুধপণ্য, প্লাস্টিক, চামড়া, পাটজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণশিল্প এবং জনশক্তি রপ্তানির মতো খাতগুলোয় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণে আরও জোর দিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের আমসহ কৃষিজাত পণ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থাকা সত্ত্বেও গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ জরুরি। বর্তমানে তৈরি পোশাকশিল্প অল্প কিছু গন্তব্যে ৮৫ শতাংশ রপ্তানি আয় করছে, যেখানে অবধারিত ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে তিনি রপ্তানি গন্তব্য বাড়ানো ও পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ব্যাপারে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।