প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে ওরিয়ন গ্রুপের বক্তব্য

গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত ‘অনিয়মের ঋণে খেলাপির শীর্ষে এখন জনতা ব্যাংক’ শীর্ষক প্রতিবেদনের কিছু বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ। গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিমের পক্ষ থেকে পাঠানো এ-বিষয়ক বক্তব্যে বলা হয়েছে, জনতা ব্যাংকের সঙ্গে নৈতিকতার শক্তিশালী মান বজায় রেখে ব্যবসা করছে ওরিয়ন গ্রুপ, যেখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন

গত দুই বছরে ওরিয়ন গ্রুপ থেকে জনতা ব্যাংক প্রতিবছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। কিন্তু প্রতিবেদনটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে কিছু অনিয়মের সঙ্গে ওরিয়ন গ্রুপ যুক্ত। প্রকৃত সত্যি হলো, ওরিয়ন গ্রুপ জনতা ব্যাংকের শীর্ষ গ্রাহকদের একজন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ঋণ গ্রাহকের তালিকায় ওরিয়ন তৃতীয় স্থানে, যা মোটেই সত্য নয়।

এই তথ্য পাঠকদের ভুল ধারণা দিয়েছে, যা আমাদের কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। এ সুনাম পুনরুদ্ধার করা আমাদের জন্য বেশ কঠিন। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি, জনতা ব্যাংক থেকে নেওয়া ফান্ডেড ঋণের ক্ষেত্রে ওরিয়নের অবস্থান অনেক নিচে। এমনকি ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ মিলিয়ে হিসাব করলেও ঋণগ্রহীতা গ্রাহক হিসেবে আমাদের অবস্থান অনেক নিচের দিকে।

আমাদের সব ঋণ নিয়মিত ও পেশাদারির ভিত্তিতে পরিচালিত। জনতা ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের বিপরীতে আমরা কখনো পুনঃতফসিল সুবিধাও নিইনি। নন-ফান্ডেড যেসব ঋণ রয়েছে, তার বিপরীতে সরকারি বিল জমা আছে। ফলে এ ধরনের ঋণ সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনে শীর্ষ গ্রাহকের তালিকাটি ঋণের পরিমাণের ক্রমানুযায়ী সাজানো হয়নি। এ ছাড়া প্রতিবেদনে ওরিয়ন গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম করা হয়েছে—এমন তথ্য কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।