ঢাকার সবজির বাজার
সরবরাহে ঘাটতি না হওয়ায় খুচরা বাজারে প্রভাব কম
যেসব অঞ্চল থেকে সবজি আসে, সেখানে ঝড়ের প্রভাব কম থাকায় বাজারে সবজির ঘাটতি হয়নি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীর বাজারে সবজি সরবরাহে খুব একটি ঘাটতি ছিল না গতকাল। ভোরের দিকে ঝড়ের তীব্রতা কমে আসায় ঢাকার বাজারে এসেছে সবজির ট্রাক। মূলত যেসব অঞ্চল থেকে সবজি আসে, সেখানে ঝড়ের প্রভাব কম থাকায় বাজারে সবজির ঘাটতি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে সবজির ট্রাক পৌঁছাতে একটু দেরি হয়েছে। মধ্যরাতে যেসব ট্রাক এসে পৌঁছায়, তা অনেক ক্ষেত্রে সকালে এসেছে। তবে এতে খুচরা সবজির বাজারে খুব একটা প্রভাব পড়েনি।
গতকাল মঙ্গলবার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, ঝড় আসছে শুনে অনেক খুচরা ব্যবসায়ী আগেভাগেই দু-এক দিনের ব্যবসা চালানোর মতো সবজি মজুত করেছিলেন। অধিকাংশ সময় বড় ঝড়ের পরে সবজির দাম বাড়ে। সেই ধারণা থেকেই এবার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অনেক ব্যবসায়ী।
বাজারে সবজি সরবরাহে ঘাটতি নেই দাবি করে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ের কারণে সবজির বাজারে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা নেই। কারণ, এখন শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু করেছে। আর যে এলাকায় ঝড় হয়েছে, ওই অঞ্চল থেকে সাধারণত ঢাকায় সবজি আসে কম। তবে বৃষ্টিপাত যদি দীর্ঘায়িত হয়, সে ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চিচিঙ্গা, পটোল, ঢ্যাঁড়স, কাঁকরোল, ঝিঙে ও ধুন্দুল প্রতি কেজি ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকায়। বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকায়। শিমের দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। অনেক দিন ধরে শিমের দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল। টমেটো ও গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০-১৪০ টাকায়। তবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০-১২০ টাকায়।
রাজধানীর পাইকারি সবজির ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঝড়ের মধ্যেও সবজি আসা কমেনি, বরং খুচরা বিক্রেতারা বাজারে কম এসেছেন। তাতে আমাদের কাছে সবজি রয়ে গেছে।’
গতকাল ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ঢাকার বাজারে সবজির ট্রাক পৌঁছাতে একটু দেরি হওয়ায় বেচাকেনা কিছুটা কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। এতে পাইকারি বিক্রেতাদের হাতে সবজি থেকে গেছে। ফলে কম দামে পণ্য পেয়েছেন পাইকাররা।