২০২১–২২ অর্থবছরে ৭৬টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি পুরস্কার, মুজিব ট্রফি পেল রিফাত গার্মেন্টস

২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই অর্থবছরের জন্য সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে রিফাত গার্মেন্টস। তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতের এই প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন খাতে রপ্তানির আয়ের ভিত্তিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে, সে জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাধান্য। ২৮টি খাতের মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি পুরস্কার পেয়েছে। আগের অর্থবছরে রপ্তানি পুরস্কার পেয়েছিল ৭৩টি প্রতিষ্ঠান।

যেমন তৈরি পোশাক (ওভেন) খাত থেকে পুরস্কার পেয়েছে তিনটি কোম্পানি, তৈরি পোশাক নিটওয়্যার খাত থেকে পুরস্কার পেয়েছে তিনটি কোম্পানি; সব ধরনের সুতা খাত থেকে পেয়েছে তিনটি কোম্পানি; টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাত থেকে পেয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান; হোম ও স্পেশালাইজড খাত থেকে পেয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান; টেরিটাওয়েল খাত থেকে দুটি প্রতিষ্ঠান; হিমায়িত খাদ্য থেকে তিনটি; কাঁচা পাট থেকে তিনটি; পাটজাত দ্রব্য থেকে দুটি; চামড়াজাত পণ্য থেকে দুটি; ফুটওয়্যার (সব) খাত থেকে তিনটি; কৃষিপণ্য (তামাক ব্যতীত) তিনটি; কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে তিনটি; হস্তশিল্পজাত পণ্য থেকে তিনটি; মেলামাইন খাত থেকে একটি; প্লাস্টিক পণ্য থেকে তিনটি; সিরামিকের সামগ্রী থেকে তিনটি; হালকা প্রকৌশল থেকে তিনটি; ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে দুটি; অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য থেকে তিনটি; ফার্মাসিউটিক্যাল থেকে তিনটি; কম্পিউটার সফটওয়্যার থেকে দুটি; ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক শিল্প (নিট ও ওভেন) থেকে তিনটি; ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাত থেকে তিনটি; প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ খাত থেকে তিনটি; অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য থেকে তিনটি; অন্যান্য সেবা খাত থেকে দুটি; নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাত থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান এসব পুরস্কার পেয়েছে।

এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাত থেকে কোন কোন প্রতিষ্ঠান রপ্তানি পুরস্কার পেয়েছে। তৈরি পোশাক (ওভেন) খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে উইন্ডি অ্যাপারেলস, রৌপ্য পেয়েছে অ্যাপারেল গ্যালারি লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে মেসার্স চিটাগাং এশিয়ান অ্যাপারেলস। তৈরি পোশাক নিটওয়্যার খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে ফ্ল্যামিংগো ফ্যাশনস লিমিটেড।

সব ধরনের সুতা খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড; টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে নাইস ডেনিম মিলস লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে হা-মীম ডেনিম লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।

হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে মমটেক্স এক্সপো লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে এসিএস টেক্সটাইলস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। টেরিটাওয়েল খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড ও রৌপ্য পেয়েছে এসিএস টাওয়েল লিমিটেড।

হিমায়িত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে প্রিয়াম ফিশ এক্সপোর্ট লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে এমইউসি ফুডস লিমিটেড।

কাঁচা পাট খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, রৌপ্য পেয়েছে মেসার্স তানফিয়া জুট ট্রেডিং ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে মেসার্স ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স।

পাটজাত দ্রব্য থেকে স্বর্ণ পেয়েছে জনতা জুটল মিলস ও রৌপ্য পেয়েছে আকিজ জুট মিলস। চামড়াজাত পণ্য থেকে স্বর্ণ পেয়েছে পিকার্ড বাংলাদেশ ও রৌপ্য পেয়েছে এবিসি ফুটওয়্যার। সব ফুটওয়্যার থেকে স্বর্ণ পেয়েছে বে-ফুটওয়্যার, রৌপ্য পেয়েছে এডিসন ফুটওয়্যার ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে এফবি ফুটওয়্যার।

কৃষিপণ্য থেকে স্বর্ণ পেয়েছে ইনডিগো করপোরেশন, রৌপ্য পেয়েছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে সিএসএস ইন্টারন্যাশনাল। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে স্বর্ণ পেয়েছে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো, রৌপ্য পেয়েছে প্রাণ অ্যাগ্রো ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে প্রাণ ফুডস লিমিটেড।

হস্তশিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে কারুপণ্য রংপুর, রৌপ্য পেয়েছে বিডি ক্রিয়েশন ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে ক্ল্যাসিকস হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস।

মেলামাইন থেকে স্বর্ণ পেয়েছে ডিউরেবল প্লাস্টিক, প্লাস্টিক পণ্য থেকে অলপ্লাস্ট, রৌপ্য পেয়েছে আকিজ বায়াক্স ফিল্মস ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল। সিরামিকের সামগ্রী খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস, রৌপ্য পেয়েছে আর্টিসান সিরামিকস ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে প্রতীক সিরামিকস।

হালকা প্রকৌশল খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে এমঅ্যান্ডইউ সাইকেলস, রৌপ্য পেয়েছে মেঘনা বাংলাদেশ ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক খাতে স্বর্ণ পেয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রৌপ্য পেয়েছে বিআরবি কেব্‌ল ইন্ডাস্ট্রিজ।

অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে মেরিন সেফটি সিস্টেম, রৌপ্য পেয়েছে মেসার্স এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে তাসনিম কেব্‌লস।

ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল, রৌপ্য পেয়েছে ইনসেপটা ফার্মা ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে স্কয়ার ফার্মা।

কম্পিউটার সফটওয়্যার থেকে স্বর্ণ পেয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও রৌপ্য পেয়েছে গোল্ডেন হারভেস্ট ইনফোটেক।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক শিল্প (নিট ও ওভেন) থেকে স্বর্ণ পেয়েছে ইউনিভার্সেল জিনস, রৌপ্য পেয়েছে প্যাসিফিক জিনস ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে শামা ডেনিমস। ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে স্টার প্যাকেজিং অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ, রৌপ্য পেয়েছে পদ্মা স্পিনিং অ্যান্ড কম্পোজিট ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে ফারদিন অ্যাকসেসরিজ।
প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে এমঅ্যান্ডইউ প্যাকেজিং, রৌপ্য পেয়েছে মনট্রিমস লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে মেসার্স ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং। অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য থেকে স্বর্ণ পেয়েছে হেয়ার স্টাইল ফ্যাক্টরি, রৌপ্য পেয়েছে রায় ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল। অন্যান্য সেবা খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে মেসার্স এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেড ও রৌপ্য পেয়েছে মীর টেলিকম লিমিটেড।

নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস, রৌপ্য পেয়েছে বী-কন নিটওয়্যার ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস।