পোশাক রপ্তানি বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ায় সম্মেলন করল বিজিএমইএ 

তৈরি পোশাক কারখানা
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

অস্ট্রেলিয়ার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে দেশটির মেলবোর্ন শহরে অ্যাপারেল সামিট বা সম্মেলন করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। দেশের বাইরে এটি বিজিএমইএর প্রথম অ্যাপারেল সামিট।

এইচএসবিসি ব্যাংক ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার আয়োজিত এই সম্মেলনে ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সরবরাহকারী, ভোক্তা, উন্নয়ন অংশীদার, অস্ট্রেলিয়া সরকারের নীতিনির্ধারকসহ ১৩০ জন অংশ নেন। বিজিএমইএর পাঠানো বিজ্ঞপ্তি ও সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।

অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো তৈরি পোশাক রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছেছে। অর্থবছর শেষে এই বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১১৬ কোটি ডলারের। তার আগের অর্থবছর অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি হয়েছিল ৮১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।

মেলবোর্নের সম্মেলনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও শ্রমিকদের কল্যাণে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যের তৈরি পোশাক উৎপাদনের পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে। বাংলাদেশের কারখানায় এখন ১০০ ডলার মূল্যের পোশাকও উৎপাদন হচ্ছে। 

পোশাকের কেমার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ান বেইলি সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের রূপান্তরের প্রশংসা করেন। 

বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যান্টনি শ তাঁর বক্তব্যে শিল্প ও অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, তার প্রশংসা করেন। 

সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ, স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম, শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ, অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন কাউন্সিলের সিইও লেইলা নাজা হিবরি, অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী লিন মরগেন, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

সম্মেলনে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও প্রকৃতির ওপর বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সর্বশেষ কালেকশন প্রদর্শনের ব্যবস্থাও ছিল। অংশগ্রহণকারীদের নৈশভোজে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় রানারআপ কিশোয়ার চৌধুরীর রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়।