‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছি, পরিবহনের জায়গাটা যেন স্বচ্ছ থাকে’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামছবি: সংগৃহীত

পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণেও যে অনেক সময় জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, এ কাহিনি কারও অজানা নয়। এ ব্যাপারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তিনি এটুকু বললেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছি, পরিবহনের জায়গাটা যেন স্বচ্ছ থাকে।’

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সচিবালয়ে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) নিয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাজারে লেবুর বাড়তি দাম নিয়ে কথা বলেন আহসানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৬-৭ টাকার লেবু ঢাকায় এসে ২০ টাকা হয় কেন? এটা কি পরিবহনের কারণে বাড়ছে, নাকি আরও কোনো বাধাবিপত্তি আছে? আসার সময় (বৈঠকে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছি, পরিবহনের জায়গাটা যেন স্বচ্ছ থাকে।’

বাজার তদারকির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চালের দামে স্বস্তি আছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অস্থিরতা পাইনি, কোনো অভিযোগও পাইনি। তেলের লিটার ১৭৩ টাকা থেকে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। বাজারে যাতে সরবরাহ ঠিক থাকে, তা নিশ্চিত করছি।’

আহসানুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাজারে চিনি, ডালসহ কোনো নিত্যপণ্যের স্বল্পতা বা সংকট নেই। এটিকে আমি অবশ্যই স্বস্তি বলব। লেবু একটি মৌসুমি পণ্য। কৃষিপণ্যগুলো মৌসুমি হয়, যা দেখে থাকে কৃষি বিপণন বিভাগ। কৃষিমন্ত্রী, কৃষিসচিব ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে আজও (মঙ্গলবার) কথা বলেছি, যাতে তারা মৌসুমি পণ্যের ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাজার তদারক করি। অনেকেই আমাদের বাজারে যাওয়াটাকে লম্ফঝম্ফ মনে করছেন। কেউ আমাদের শিক্ষানবিশ হিসেবে দেখছেন। এ সমালোচনাকে গুরুত্ব দিই না, আমরা নিজেদের চেষ্টার বিষয়টি দেখি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে চেষ্টা করাই আমাদের কাজ। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারে যাচ্ছি। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হচ্ছে।’

এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। জ্যেষ্ঠ সচিব (তপন কান্তি ঘোষ) তিন দিন ধরে দাম কমাতে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন, আলোচনা করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধাগুলো চাইলেই নিরসন করা যায় না, উল্লেখ করে আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘তবে আমাদের উদ্যোগ ও চেষ্টা আছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তারপরও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন। সেটাও দেখতে হবে। তাদেরও ভোক্তা আছে। সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারিভাবে পেঁয়াজ আনব অথবা আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব।’