অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি, কিছুটা মচকে গেছে

আহসান এইচ মনসুর

দেশের সার্বিক অর্থনীতি সামাল দেওয়া গেছে। কোভিডের কারণে অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি। কিছুটা মচকে গেছে। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া আছে। অবশ্য বিশ্বজুড়েই এখন মূল্যস্ফীতি বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও চালের দাম চড়া। এর প্রভাব বাংলাদেশেও কিছুদিন থাকবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সব সময় খারাপ।

অন্যদিকে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে অসামঞ্জস্য আছে। আমদানি বেশি হচ্ছে। কিন্তু রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় কমে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ যা বেড়েছিল, তা থাকেনি। বিদেশে শ্রমিক কম যাওয়ায় সামনের দিনগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও কমতে পারে।

মুদ্রা বিনিময় হারে অসামঞ্জস্য আছে। ডলারের মূল্য ব্যাংকে ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। আর খোলাবাজারে তা ৯১-৯২ টাকা। পার্থক্য অনেক বেশি। এতে ব্যাংকব্যবস্থায় অর্থের স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হতে পারে।

বাজেট ব্যবস্থাপনা নিয়েও অস্বস্তিতে আছে সরকার। অবশ্য রাজস্ব আদায় কম হলে সরকার খরচ কমিয়ে সামাল দিতে পারে। রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি করোনার আগের পর্যায়ে চলে এসেছে। কিন্তু লক্ষ্য বেশি থাকায় এবারও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে রাজস্ব অর্জিত হবে না। ফলে সরকারকে উন্নয়ন খরচ কমাতেই হবে, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। উন্নয়ন খরচ কমালে মানুষের কাছে টাকার প্রবাহ কমবে। এ ছাড়া সামনে অমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি আছে। অমিক্রন ভালোভাবে সামাল দিতে না পারলে সামনে অর্থনীতি নাজুক অবস্থায় পড়ে যেতে পারে। সেই প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।