প্রস্তাবিত বাজেটে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের টার্নওভার করহার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন দাখিল বাদে বাকি সব রিপোর্টিং থেকে অব্যাহতির প্রস্তাবও করা হয়েছে। স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সুবিধা দেওয়ায় আমি খুবই খুশি।
অবশ্য আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ই-কমার্স খাতের জন্য কোনো কিছু নেই। এটা খুবই হতাশাজনক। আমরা গুদাম ভাড়ার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু দাবি করেছিলাম। ভেবেছিলাম আগামী দিনের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবিদাওয়া আমলে নেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত বাজেটে কিছুই পেলাম না।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ১০ শতাংশ হারে অগ্রিম করারোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল আমদানিতে আরও ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ওপর করারোপ করার অর্থ হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত তা গ্রাহকের ওপরই চাপবে। অন্যদিকে ল্যাপটপ আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তাতে সব মিলিয়ে ল্যাপটপ আমদানিতে মোট করহার ৩১ শতাংশে দাঁড়াবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ল্যাপটপের দাম বেড়ে যাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। সে কারণে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ওপর ১০ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়করের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ল্যাপটপ আমদানিতেও প্রস্তাবিত মূসক তুলে দেওয়া দরকার। মূসক আরোপ নয়, উল্টো ল্যাপটপ কেনায় ভর্তুকি দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
আমাদের কাছে মনে হয়, তৈরি পোশাকশিল্পের মতো শক্তিশালী লবিং না থাকার কারণে আমাদের ওপর বেশি কর আরোপ করা হচ্ছে। রাজস্ব কর্তৃপক্ষ স্মার্ট হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে পুরোপুরি সহযোগিতা করছে না বলেই আমাদের আপাতত মনে হচ্ছে।