নাগরিক সম্পৃক্ততা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ায়
জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ে, দুর্নীতি কমে। জনগণও উন্নত সেবা পায়। এ ছাড়া জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও নেপাল সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের নাগরিক সম্পৃক্ততাবিষয়ক ১১টি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করছে। সিটিজেন অ্যাকশন ফর রেজাল্টস, ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি (সিএআরটিএ) প্রকল্পের মাধ্যমে এই পর্যবেক্ষণ করা হয়। গতকাল সোমবার স্থানীয় একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট পাঁচটি প্রকল্পের পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন প্রকল্প তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের জন্য ১২ লাখ ২৯ হাজার ডলার অনুদান দেয় বিশ্বব্যাংক। সিটিজেন অ্যাকশন ফর রেজাল্টস, ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি (সিএআরটিএ) প্রকল্পের মাধ্যমে এই পর্যবেক্ষণ
করা হচ্ছে। এটি একটি পাইলট প্রকল্প।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততার এ ধারণাটি বেশ কার্যকর। এটি আমাদের সামনের দিকে যেতে উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দাতাদের অর্থ পাওয়া যাক আর না যাক, এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, পর্যবেক্ষণ করা এ প্রকল্পের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো স্থানীয় পর্যায়ে নারী-পুরুষের ক্ষমতায়ন। ক্ষমতায়ন হলে একদিকে প্রকল্প যেমন টেকসই হবে, অন্যদিকে দক্ষতা বাড়বে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সালমান জাইদী বলেন, স্বচ্ছতা থাকলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়। নীতিনির্ধারক, সরকার ও সেবা প্রদানকারীর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নাগরিক সম্পৃক্ততা বিশ্বব্যাংকের কৌশলের অন্যতম উপাদান। বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য, ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে শতভাগ সুবিধাভোগী সেবা পাবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন সিএআরটিএ কর্মসূচি পরিচালক জারডা স্টর্ম ভ্যান লিইউউইন।