করমুক্ত আয়সীমা সামঞ্জস্যপূর্ণ হোক

রাশেদ আক্তার

আসছে বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা একটু বাড়িয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হলে নতুন চাকরিপ্রাপ্ত সব পেশাজীবীর জন্য ভালো হবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির যে চাপ তাতে তাঁরা একটু স্থিতিশীল জীবন যাপন করতে পারবেন। খুচরা ও ভোক্তাঋণের ক্ষেত্রে কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সীমা পুনর্নির্ধারণ করলে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবেন। একইভাবে ব্যাংকগুলো এসব ঋণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের পাশে থাকতে পারে। তাই ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভোক্তাঋণ ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্ট এবং ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কর রিটার্ন প্রদানের বাধ্যবাধকতার সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

পেনশনভোগীদের জন্য করের মাত্রা সব ক্ষেত্রে কমিয়ে আনা যেতে পারে। তাতে পেনশনভোগীরা পরিবার নিয়ে আরেকটু স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারবেন। ব্যাংকের তারল্যসংকট মোকাবিলায় আবগারি শুল্কের হার পুনর্বিবেচনা করা যায়। শুধু সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্কের হার কমানো যেতে পারে। এতে ব্যাংকগুলো মাঠপর্যায়ে থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমানত পাবে, যা তাদের তারল্যসংকট অনেকাংশে মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে প্রণোদনা আড়াই শতাংশের পরিবর্তে আরও বাড়ানো যেতে পারে। এতে প্রবাসী আয় বাড়বে। এতে ডলারঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে।

গৃহ নির্মাণসামগ্রীর ওপর চলমান উচ্চকরের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। এতে যেমন মাঠপর্যায়ের ক্ষুদ্র গ্রাহকেরা নিজেদের জন্য আবাসস্থল নির্মাণ বা কিনতে পারবেন। ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে এই ঋণ প্রদান করে ঝুঁকি কমিয়ে মুনাফা অর্জন করতে পারে। জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত করের হার কমানো যেতে পারে। এতে গ্রাহকেরা জমি অথবা ফ্ল্যাট কিনতে সক্ষম হবেন। দেশের পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের ক্ষেত্রে (যাঁরা উচ্চ মাত্রার সম্পদের মালিক নন) কর প্রদানের হার পুনর্নির্ধারণ করলে তাঁরা বেশি প্রশান্তি নিয়ে জীবন যাপন করতে পারবেন।