এবারের তীব্র তাপপ্রবাহে এসির বেচাবিক্রি কেমন?
এম এ রাজ্জাক খান: মানুষের মধ্যে এসি কেনার চাহিদা বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আমাদের এসি বিক্রির হার বেড়েছে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। এমনও হচ্ছে যে চাহিদামাফিক এসি সরবরাহ দিতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি।
আমাদের দেশে বছরের কোন সময় এসি বেশি বিক্রি হয়?
এম এ রাজ্জাক খান: আমাদের দেশে চৈত্র মাস শেষ হওয়ার আগেই গরম পড়তে শুরু করে। গ্রীষ্মে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। সে কারণে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে এসি বিক্রি হয় সর্বোচ্চ। তবে বছরজুড়ে বিভিন্ন অফার থাকার কারণে সারা বছরই এসি বিক্রি অব্যাহত থাকে।
এখনকার বড় ক্রেতা কোন শ্রেণির?
এম এ রাজ্জাক খান: এসি এখন আর বিলাসবহুল পণ্য না। প্রচণ্ড গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে এসির চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন খুব কম দামেই এসি কেনা যায়। আবার কিস্তিতে কেনার সুবিধাও দিচ্ছি আমরা। এখনকার বড় ক্রেতা মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণির।
এসির কোন কোন যন্ত্রাংশ দেশে তৈরি হয়?
এম এ রাজ্জাক খান: বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরেই তৈরি হচ্ছে এসিসহ নানা ইলেকট্রনিকস পণ্য। বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করে এনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষ লোকবল দিয়ে আমরা আমাদের এসি তৈরি করে থাকি। আমরা এসিতে জাপানিজ ব্র্যান্ডের প্যানাসনিক কম্প্রেসর ব্যবহার করছি। আমরাই একমাত্র কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছি।
বাংলাদেশে এসির বাজারের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল?
এম এ রাজ্জাক খান: বাংলাদেশের জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ২০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মানে হলো ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষ এয়ারকন্ডিশনিংয়ের সুযোগ-সুবিধা চাইবে।
এসি রপ্তানির কি কোনো সম্ভাবনা আছে?
এম এ রাজ্জাক খান: আমরা এখনো এসির রপ্তানি শুরু করিনি। শিগগির মিনিস্টার গ্রুপের ইলেকট্রনিকস পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে যাবে, এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।