ভারতের বিকল্প বাজার ধরতে বন্ড সুবিধা চাই

এ করিম মজুমদার

ভারতের বাজারে বাংলাদেশের আসবাব রপ্তানির পরিমাণ খুব বেশি নয়। তারপরও আমরা নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এই বাজারে আসবাব সামগ্রী রপ্তানি করে আসছিলাম। বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের আসবাব সামগ্রী বেশি রপ্তানি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও সিলেটের তামাবিল সীমান্ত হয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের আসবাব সামগ্রী এসব রাজ্যে রপ্তানি করা হতো। 

বর্তমানে বছরে আমরা ৮০ থেকে ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের আসবাব সামগ্রী ভারতের সেভেন সিস্টারে রপ্তানি করতাম। কয়েক বছর আগেও যার পরিমাণ ছিল দেড় থেকে দুই লাখ ডলারের। গত শনিবার ভারত সরকার স্থলপথে আসবাব সামগ্রীর আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় এই রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে। বলা যায়, এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা না হলে বিকল্প পথে সেভেন সিস্টারে কেউ আর আসবাব সামগ্রী রপ্তানি করবে না। কারণ, তাতে যে খরচ হবে, সেই খরচে পোষানো যাবে না। তাই বিকল্প পথ ব্যবহার করে কেউ আর আসবাব সামগ্রী রপ্তানিতে আগ্রহী হবেন না। 

আমরা দীর্ঘদিন ধরে আসবাব সামগ্রীর রপ্তানি বাড়াতে সরকারের কাছে বন্ড-সুবিধা দাবি করে আসছিলাম। আগামী বাজেটে সরকার আমাদের এই সুবিধা দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। আমরা মনে করি, এখন আসবাব সামগ্রী রপ্তানিতে ভারতের বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে। এরই মধ্যে আমরা ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে আসবাব সামগ্রীর রপ্তানির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। এসব বাজারে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রপ্তানি করতে হলে বন্ড-সুবিধা লাগবে। সেটি হলে আমরা মনে করি, ভারতের বিকল্প হিসেবে আমরা উন্নত দেশগুলোকে আসবাবে বড় রপ্তানিবাজার হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। পাশাপাশি ভারতে রপ্তানি বন্ধের কারণে যে ক্ষতি হবে, সেটিও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।


এ করিম মজুমদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নাদিয়া ফার্নিচার