বিকাশ এখন ৬ কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকের পরিবার। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সহজ, নিরাপদ ও তাৎক্ষণিক সেবা দিয়ে গ্রাহকের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনেছে বিকাশ। নিরবচ্ছিন্ন উদ্ভাবনের পাশাপাশি বিশ্বমানের বিনিয়োগ ও কমপ্লায়েন্স চর্চা গ্রাহকদের দিয়েছে নির্ভরতা। তাই তাঁদের আস্থা ও ভালোবাসায় লেনদেনের সমার্থক শব্দ এখন ‘বিকাশ করা’।
টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, টাকা উত্তোলনের মতো সেবা নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন বিকাশ হিসাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়, ডিজিটাল ন্যানো ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। বিকাশেই করা যাচ্ছে কেনাকাটার বিল পরিশোধ, সব ধরনের পরিষেবা বিল পরিশোধ, প্রবাসী আয় গ্রহণ, বেতন–ভাতা বিতরণ, জিটুপি (সরকার থেকে গ্রাহক) পদ্ধতিতে সামাজিক সুরক্ষাসহ সরকারের বিভিন্ন খাতের ভাতা বিতরণ, ব্যাংক থেকে বিকাশে বা বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর, বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করাসহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন।
মোবাইলে আর্থিক সেবা খাতের প্রায় এক যুগ পার হচ্ছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই খাত। বাংলাদেশ এখন লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতির পথে। এই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে এমএফএস খাতই হবে অন্যতম সহযোগী।
এই খাতকে আরও সম্প্রসারিত করতে উদ্ভাবন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়াতেও আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে সবাইকে। আর নগদবিহীন বা ক্যাশলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বরাবরের মতোই গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থিক খাতের আস্থা বজায় রাখাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।