সংকট কিছুটা কেটে যাবে

মামদুদুর রশীদ

ডলারের চাহিদার চেয়ে জোগান কমে যাওয়ার সংকট থেকে দাম বেড়ে গেছে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। এ জন্য আগে চাহিদা কমাতে হবে। এতে আমদানি খরচ কমবে। তাহলেই চাহিদা ও জোগানের মধ্যকার পার্থক্য কমে আসবে। আমদানি কমাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ব্যাংকের ডলার ধারণের সীমা কমিয়ে দেওয়ায় অনেক ব্যাংককে ডলার বিক্রি করে দিতে হবে। আবার রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটার ৫০ শতাংশ বিক্রি করে দিতে বলা হয়েছে। এতে যেসব ব্যাংকের চাহিদা প্রয়োজন তারা ডলার পাবে। এর ফলে ডলারের সংকট কিছুটা হলেও কেটে যাবে। এসবই স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ।

দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তাহলে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। পাশাপাশি বিলাসপণ্যের আমদানি কমিয়ে আনতে হবে। কারণ, দেশে অনেক পণ্য উৎপাদন হয়, যা আমদানির প্রয়োজন নেই।

ব্যাংকগুলো যখন আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলে, তখন দায় পরিশোধে বাধ্য। এই দায় শোধ করতে না পারলে ব্যাংকের রেটিং খারাপ হয়ে যাবে। এ জন্য প্রয়োজন হলে ব্যাংকগুলো প্রবাসী ও রপ্তানি আয় থেকে ডলার সংগ্রহ করে। দাম কত হয়, সেদিকে নজর দিতে পারে না।

— মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনসিসি ব্যাংক