শিখন ঘাটতি পূরণে বিশেষ বরাদ্দ চাই

সামিয়া ইসলাম

জাতীয় বাজেট নিয়ে কমবেশি দেশের সব মানুষের মধ্যে আগ্রহ থাকে। শিক্ষার্থী হিসেবে আমারও কিছু প্রত্যাশা আছে। শিক্ষা খাতে সরকারের অর্থ ব্যয় এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে যায়নি। শিক্ষার সার্বিক মান, গবেষণা ও চাকরির সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে করোনার কারণে দুই বছর আমাদের পড়াশোনায় বড় ধরনের শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ক্ষতি পূরণের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

করোনার কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই বড় ধরনের শিখন ঘাটতি হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক সংকটে পড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের অনেক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে। তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে।

দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও সেগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরেই আবাসনসংকট ও গণরুম সমস্যা রয়েছে। এই সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

বর্তমানে বাজারে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে অনেক শিক্ষার্থীই ঠিকমতো নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছেন না। আমাদের অনেক সহপাঠী খাবারের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে খরচ সাশ্রয় করছেন। অথচ আমরা সবাই জানি, পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার পরিবেশ ভালো না হলে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা কমে যায়। তাই হলের ক্যানটিন ও ডাইনিং ব্যবস্থায় ভর্তুকি দিয়ে খাবারের মান বাড়াতে হবে।

মৌলিক খাদ্যপণ্যগুলোর দাম যেন কমে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবারের বাজেটে।

বরাদ্দ–সংকটসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত গবেষণা হচ্ছে না। তাই এই খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যেসব বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে চাকরির বাজার বেশ সংকুচিত হয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। তাই আশা করছি, সরকার কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বাজেটে বিশেষভাবে জোর দেবে।