সাক্ষাৎকার

বাজারের অধিকাংশ ফ্রিজ দেশে তৈরি

মো. নুরুল আফছার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইলেক্ট্রো মার্ট লি.

প্রথম আলো:

উৎপাদন ও বিক্রির দিক থেকে দেশে ফ্রিজের বাজারে আপনাদের অবস্থান কেমন?

উত্তর: বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটর বাজার বেশ বড়। ২০২৯ সালের মধ্যে দেশে ইলেকট্রনিক পণ্যটির গড় বাজার সম্প্রসারণের হার দাঁড়াবে বার্ষিক ১০-১৫ শতাংশে। উৎপাদন ও বিক্রির দিক থেকে কনকা ও হাইকো ব্র্যান্ড রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার বাজার চাহিদার একটি বৃহদংশ সরবরাহ করছে।

প্রথম আলো:

ফ্রিজ উৎপাদন খাতে আর কী ধরনের সহায়তা দরকার?

উত্তর: সরকার কয়েক বছর ধরে এ খাতের উন্নয়নে নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আমরা সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্সের এই সুবিধাকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা এবং কাস্টমস শুল্কায়ন ও ভ্যাট বিভাগের রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়ার সব নীতিমালা সহজীকরণের অনুরোধ করছি।

দেশে উৎপাদিত ফ্রিজের অধিকাংশ দেশেই বিক্রি হচ্ছে। আমরা ফ্রিজ রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।
মো. নুরুল আফছার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইলেক্ট্রো মার্ট লি.
প্রথম আলো:

বিদেশে ফ্রিজ রপ্তানির সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?

উত্তর: বর্তমানে দেশে উৎপাদিত ফ্রিজের অধিকাংশ দেশেই বিক্রি হচ্ছে। শিগগিরই আমরা নিকটবর্তী দেশগুলোতে ফ্রিজ রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।

প্রথম আলো:

গ্রাহকদের অনেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে পছন্দ করেন। এ পরিস্থিতি পাল্টাতে আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

উত্তর: দেশে তৈরি ফ্রিজ এবং বিদেশে তৈরি ফ্রিজের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। বরং দেশে তৈরি ফ্রিজের ক্ষেত্রে দেশের গ্রাহক ও ব্যবহারকারীদের কাঙ্ক্ষিত প্রয়োজন ও স্বাচ্ছন্দ্য ইত্যাদি বিবেচনা করে প্রস্তুত করা হয়। বাজারের অধিকাংশ ফ্রিজ দেশে তৈরি।

প্রথম আলো:

আপনারা ফ্রিজ উৎপাদন করছেন কোন কারখানায়? সারা দেশে ভোক্তাদের কাছে কীভাবে পণ্য সরবরাহ করছেন?

উত্তর: নারায়ণগঞ্জের অদূরে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ায় চায়না বাংলাদেশ যৌথ সহযোগিতায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির শিল্পকারখানাটি স্থাপন করা হয়। বিশ্বের নাম্বার ওয়ান কনকা, গ্রী ও হাইকো ব্র্যান্ড পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কারখানাটি গড়ে তোলা হয়। সারা দেশে আমাদের নিজস্ব সেলস ও ডিসপ্লে সেন্টার, দুই হাজারের অধিক পার্টনার ও ডিলার শোরুমের মাধ্যমে দেশব্যাপী পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রথম আলো:

কম্প্রেসরসহ ফ্রিজ তৈরির সব ধরনের উপকরণই কি এখন দেশে তৈরি হয়?

উত্তর: আমরা মূলত কম্প্রেসরই আমদানি করি। ফ্রিজ তৈরির অবশিষ্ট অধিকাংশ যন্ত্রাংশই কাঁচামাল আমদানির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া এই শিল্পকে ঘিরে বেশ কয়েক ধরনের ছোট ছোট ব্যাকওয়ার্ড কারখানা দেশে তৈরি হয়েছে।

প্রথম আলো:

কবে থেকে আপনারা ফ্রিজ উৎপাদন শুরু করেছেন? বর্তমানে কত ধরনের ফ্রিজ উৎপাদন করছেন?

উত্তর: ১৯৮০ সাল থেকে আমাদের ব্যবসায়িক ও বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক পণ্য বিপণনের মধ্য দিয়ে। ১৯৯৮ সাল থেকে চায়না ব্র্যান্ড কনকা ও গ্রী ইলেকট্রনিক পণ্য বাজারজাতকরণের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়। তখনকার সময়ে আমরাই বাংলাদেশে প্রথম পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি প্রদান করে ইলেকট্রনিক পণ্য বিপণন করি। কনকা ও হাইকো ব্র্যান্ডের ৭০টির অধিক বিভিন্ন সাইজ ও মডেলের ফ্রিজ রয়েছে।

প্রথম আলো:

ঈদুল আজহায় ফ্রিজ বিক্রি নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

উত্তর: দেশের দুটি বড় উৎসব ঈদকে ঘিরে বার্ষিক চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ ফ্রিজ এ সময়ে বিক্রি হয়।