জিনিসপত্রের দাম যেন কমে আসে

মো. সহীমুদ্দিন

বাজারে প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় রিকশার ভাড়া বাড়েনি, আয়ও তেমন বাড়েনি। ফলে কী যে কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তা বলে বোঝানো যাবে না। খরচ বাঁচাতে এখন গুনে গুনে প্রতিটি টাকা খরচ করছি। মাছ-মাংস কেনা কমায়া দিছি। আগে ঘরের লোকেরা পাঙাশ মাছ কম খেত। কিন্তু এখন অন্য মাছের দাম বেশি। এ জন্য বর্তমানে পাঙাশ মাছই বেশি কেনা হয়। এই মাছও ২০০ টাকা কেজি। চাল, পেঁয়াজ, তেল, চিনি—এগুলা কিনতে গেলেও নিজেকে অসহায় লাগে। এভাবে দাম বাড়লে সামনের দিনগুলোতে চলব কীভাবে, সেই চিন্তায় আছি।

আমি ১৪ বছরের বেশি সময় ঢাকাতে আছি। এখানে রিকশা চালাই, অন্য কাজও করি। নিজ জেলা শেরপুরে কাজের সুযোগ ও মজুরি কম থাকায় ঢাকা থাকি। কিন্তু এখানে দিন দিন সব খরচ বাড়ছে। ঘরভাড়া ছাড়াও থাকা-খাওয়ার সমস্যাও বেশি। এখন হোটেলে খাইলে আগের দ্বিগুণ টাকা লাগে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়িতে যে ফিরে যাব, সে সুযোগও কম। এখন সরকার আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ অর্থসহায়তা দেয়। পাশাপাশি বাজেটে জিনিসপত্রের দাম কমানোর ব্যবস্থা যেন থাকে।

আমি টিসিবির পরিবার কার্ড করানোর সুযোগ পাইনি। আবার রিকশা বন্ধ রেখে দীর্ঘ সময় ওএমএসের ট্রাকের কাছে দাঁড়িয়ে থাকাও সম্ভব নয়। তাই আমাদের মতো মানুষদের জন্য আলাদা কার্ডের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই। আর ওএমএসের ট্রাকে তেলসহ আরও কিছু পণ্য বিক্রি করা হোক। 

কম আয়ের মানুষদের শারীরিক পরিশ্রম বেশি। তাই তাঁরা মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে যান। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর ডাক্তার দেখানোর সুযোগ হয়। তাদের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া কঠিন। তাই সরকারের কাছে কম আয়ের মানুষের জন্য ভালো চিকিৎসা দাবি করি।

এ ছাড়া ঢাকার বাতাসের অতিরিক্ত ধুলাবালু আমাদের অনেক অসুবিধা করছে। যারা রিকশা চালান বা বাইরে কাজ করেন, ধুলার জন্য তাঁদের অনেক অসুবিধা হয়। এই সমস্যার সমাধান দরকার।