উপকরণ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা লাগবে

ছৈয়দ মুহাম্মদ সোয়াইব হাছান, সাবেক সহসভাপতি, বাপা

কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানিতে আমরা কয়েকটি কারণে প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছি। কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ক্ষেত্রে প্যাকেজিং বা মোড়কজাত পণ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেশে স্থানীয়ভাবে সব ক্ষেত্রে মানসম্মত প্যাকেজিং পণ্য পাওয়া যায় না। বেশ কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে দেশীয় প্যাকেজিং পণ্য ব্যবহারের কারণে দুবাইয়ে আমাদের জেলিসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমেছে। আবার মানসম্মত প্যাকেজিং পণ্য আমদানি করতে গেলে প্রায় ৭১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হচ্ছে। এই পরিমাণ শুল্ক দিয়ে প্যাকেজিং পণ্য আমদানি করলে, অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হবে না।

কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদনে চিনির ব্যবহার অনেক। কিন্তু দেশে চিনির দাম ১২৮ টাকা কেজি। এই দামে চিনি কিনে বিস্কুট, কনফেকশনারি বা জুস উৎপাদন করে ভারত বা চীনের সঙ্গে আমরা প্রতিযোগিতায় পারছি না। আবার দুবাইসহ অনেক দেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে সুগার ট্যাক্স আরোপ করেছে। তার মানে কোনো পণ্যে চিনি থাকলে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ কর দিতে হবে। সুগার ট্যাক্স এড়ানোর জন্য ভারতসহ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশ চিনির বিকল্প হিসেবে ফ্রুকটোজ ব্যবহার করছে। কিন্তু উচ্চ শুল্কের কারণে আমরা ফ্রুকটোজ আমদানি করতে পারছি না। ফলে বাজার হারাচ্ছি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রপ্তানি ধরে রাখতে হলে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রয়োজন। উপকরণ ও প্যাকেজিং পণ্য আমদানির সুযোগ দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা যেসব কাঁচামাল আমদানি করছি, সেগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষার অজুহাত দেখিয়ে রপ্তানিকারকদের হয়রানি করা হচ্ছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এই হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

  • ছৈয়দ মুহাম্মদ সোয়াইব হাছান, সাবেক সহসভাপতি, বাপা