অ্যান্টি- ডাম্পিং শুল্কের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই

মো. আবুল হোসেন

পাটপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কারোপের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়েছে ভারত। এককথায় বলতে গেলে, এই সিদ্ধান্ত দেশের পাট খাতের ওপর চরম আঘাত। এতে এই খাতের অনেক ক্ষতি হবে, বন্ধ হতে পারে অনেক পাটকলও।

অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ভারত সরকারের একটি প্রতিনিধিদল আসে। তখন এই শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম।

পাশাপাশি বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিবের কাছে অনেক অনুরোধ করেছি, এ বিষয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁরা শুধু বলেছেন, ‘চেষ্টা করছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’ ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায়ও (ডব্লিউটিও) যেতে চেয়েছি আমরা। মন্ত্রণালয় সে অনুমতি দেয়নি। আমরা ট্যারিফ কমিশনেও গিয়েছিলাম। তাতেও কাজ হয়নি।

ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ হলেও শুল্কায়নের এই সিদ্ধান্ত শোষণের শামিল। এমন সিদ্ধান্ত আর মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। এখন সরকারকে ডব্লিউটিওতে মামলা করতে হবে; না হয় আমরা ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশে রপ্তানির চিন্তা করব।

পাশাপাশি এই অন্যায়ের মধ্যে পাট খাত টিকিয়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণসহ বিভিন্ন সুবিধা দিতে হবে। রাজস্ব বোর্ড ২ শতাংশ হারে উৎসে কর আরোপ করেছে। এটা প্রত্যাহার করতে হবে। আর উৎপাদিত পাটপণ্যের ৪০ শতাংশ দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের নিয়ম করা গেলে এই খাত রক্ষা করা সম্ভব।

মো. আবুল হোসেন, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পাটকল সমিতি (বিজেএমএ)